ফ্যাটি এসিড আমাদের দেহগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি আমাদের কোষঝিল্লি, বিভিন্ন কোষীয় উপাদান, হরমোন, প্রভৃতি তৈরিতে খুবই প্রয়োজনীয়। মস্তিষ্কের শতকরা ৬০ ভাগই ফ্যাটি বস্তু।
ফ্যাটি এসিড প্রধানত দুই প্রকার: এসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিড ও নন-এসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিড । যেসব ফ্যাটি এসিড যা আমাদের শরীর তৈরি করতে পারে না এবং আমরা খাবারের মাধ্যমে তা গ্রহণ করি, তারা হলো এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড। অন্যদিকে নন-এসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিড বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর প্রস্তুত করে থাকে।
এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিডগুলোর মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা–৩ ফ্যাটি এসিড আমাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়, যা আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। একটি গবেষণায় দেখা যায় অষ্টাদশ শতাব্দীর চেয়ে একবিংশ শতাব্দীতে খাদ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড গ্রহণ প্রায় ছয় ভাগের ১ ভাগে নেমে এসেছে, অন্য আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, বর্তমানে আমরা আমাদের প্রয়োজনের এক দশমাংশ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড খাচ্ছি এবং শতকরা ২০ ভাগ লোকের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড গ্রহণমাত্রা আশঙ্কাজনক ভাবে কম।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায় এমন খাবারের মধ্যে আছে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, হ্যালিবাট, টুনা, সারডিন্যাস, ম্যাকেরেল, হেরিং), ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ ডিম ও বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি। ইলিশ, রুপচাঁদা ও পাঙ্গাশ মাছে খুব অল্প পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়ার প্রমাণ মেলে। ওমেগা-৬ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে আছে তিল, তিশি, বাদাম, মিষ্টিকুমরা, দুগ্ধজাত পণ্য, শস্য জাতীয় খাদ্য, সূর্য্যমুখীর তেল প্রভৃতি। আমাদের খাদ্য তালিকায় যে পরিমাণ এবং যে প্রজাতির মাছ থাকে তা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাবার আশা করা যায় না ।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ২৪, হেলথলাইন.কম