সূর্যের আলোতে সব রং একসাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। যখন প্রিজমের মধ্য দিয়ে এই আলো প্রতিসরিত হয় তখন আমরা তা বিভিন্ন রঙের বর্ণালী রুপে দেখতে পাই। ভিন্ন ভিন্ন রঙের আলোর জন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যও ভিন্ন ভিন্ন হয়। প্রিজমের মধ্য দিয়ে যাবার সময় এই বিভিন্ন রঙের আলোকরশ্মি তাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিভিন্ন দিকে বেঁকে যায়। যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, সে সবচেয়ে বেশি বেঁকে যায়। সূর্যের আলোতে থাকা বেগুনী রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম ও লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি। তাই বাতাস থেকে আলো যখন প্রিজমে প্রবেশ করে তখন লাল আলো সবচেয়ে কম ও বেগুনী আলো সবচেয়ে বেশি বাঁকে।
যখন বাতাস থেকে একটা সূক্ষ্ম সাদা আলোর রশ্মি প্রিজমে পড়ে তখন এতে থাকা সাতটি রঙ এদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিভিন্ন কোণে বেঁকে যায়। আর এ অবস্থাতে তারা প্রিজম থেকে বাতাসে বের হওয়ার সময় আরেকবার দিক পরিবর্তন করে। তবে যেহেতু প্রিজমের ভেতর এরা দিক পরিবর্তন করে পরস্পর আলাদা হয়ে গিয়েছে সেহেতু বের হওয়ার সময় এদের আলাদা সাতটি রঙের আলো হিসেবে পাওয়া যায়।