বাদুড় মূলত ইকোলোকেশন এর মাধ্যমে রাতের বেলা শিকার করে। মূলত তাদের দ্বারা সৃষ্ট শব্দ কোনো বস্তুর গায়ে বাধা পেয়ে তাদের কাছে পুনরায় ফিরে আসলে তারা সেই বস্তুটি সম্পর্কে ধারণা পায়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে বাদুড় চোখে দেখতে পায় না৷
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এই গুজবটি প্রচলিত আছে যে বাদুড় নাকি চোখে দেখে না। আবার অনেকে মনে করেন বাদুড় সকাল বেলা চোখে দেখতে না পেলেও রাতের বেলা চোখে দেখতে পায়৷ আসলে এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল৷ বাদুরের সব প্রজাতিই কম বেশি চোখে দেখতে পারে। যদিও সব প্রজাতির দৃষ্টিশক্তি তেমন প্রখর নয়৷
তবে যেই সকল বাদুড়রা পোকা মাকড় না খেয়ে ফলের রস খেয়ে জীবন ধারণ করে তাদের বেশির ভাগই ইকোলোকেশনের বদলে চোখের মাধ্যমেই পৃথিবীর সমস্ত বস্তু দেখতে পায়৷ অপরদিকে পোকামাকড় এর ওঅর নির্ভরশীল বাদুড়রা ইকোলোকেশন এবং চোখ দুই এর মাধ্যমেই দেখার কাজটি করে থাকে৷ কিছু কিছু বাদুড় রয়েছে যাদের দৃষ্টিশক্তি আমাদের থেকেও উন্নত। এরা আল্ট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনী রশ্মি দেখতে পারে। যা তাদের ফুল খুজে বের করতে সাহায্য করে।
©annoy