নারিকেলের ভিতরে যে পানি থাকে তা মূলত এন্ডোস্পার্ম। এন্ডোস্পার্ম হল বীজের ভ্রূণের প্রধান পুষ্টির উৎস। নারিকেল যখন সবুজ অবস্থায় থাকে, অর্থাৎ ডাব অবস্থায় থাকে, তখন এন্ডোস্পার্ম বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহ তরল অবস্থায় থাকে।
নারিকেলের গাছের মূলের মাধ্যমে মাটি থেকে পানি শোষিত হয়। এই পানি কৈশিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে গাছের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। নারিকেল যখন কচি অবস্থায় থাকে, তখন এই পানি এন্ডোস্পার্মে জমা হতে থাকে। এন্ডোস্পার্মের কোষগুলো পানির চাপে ফুলে ওঠে এবং তরল অবস্থায় থাকে।
নারিকেল পাকলে, এন্ডোস্পার্মের কোষগুলো শুকিয়ে যায় এবং পানিতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো ভ্রূণের বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়। এন্ডোস্পার্মের শুষ্ক অংশকে আমরা শাঁস বলি।
নারিকেলের ভিতরের পানির পরিমাণ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। যেমন, মাটির উর্বরতা, জলবায়ু, এবং নারিকেলের জাতের উপর পানির পরিমাণ নির্ভর করে। সাধারণত, কচি নারিকেলের ভিতরে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পাকলে পানির পরিমাণ কমে যায়।
নারিকেলের পানি একটি পুষ্টিকর পানীয়। এতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, এবং অন্যান্য খনিজ লবণ রয়েছে। এছাড়াও, নারিকেলের পানিতে প্রাকৃতিক চিনি, অ্যামিনো অ্যাসিড, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে।