ভালো না লাগার পিছনে বৈজ্ঞানিক কারন কি হতে পারে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
792 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

Md Mahadi Himu- 

কিছুই ভালো লাগে না—আজকাল অনেককেই বলতে শোনা যায় এটা। পড়াশোনা, অফিসের ব্যস্ততা কিংবা পারিবারিক জীবন—সবকিছুতেই যেন একধরনের বিরক্তি, খিটখিটে মেজাজ। কিশোর থেকে শুরু করে মাঝবয়সী মানুষের মধ্যেও এ সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি সাত কিংবা আট বছরের একটি বাচ্চারও হতে পারে এ সমস্যা।

ভালো না লাগাটা কেন?

আপনি হয়তো বন্ধুদের সঙ্গে আছেন। বন্ধুদের মধ্য থেকে একজন আপনাকে নিয়ে মজার কিছু বলছেন, সেখানেও মেজাজ বিগড়ে গেল আপনার। অন্যরা যেখানে ঠাট্টা করছেন, আপনি সেখানে সহজেই রেগে উঠছেন। কেন এমন? এ বিষয়ে কথা হয় কাউন্সেলর মরিয়ম সুলতানার সঙ্গে। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে অ্যাকশন ফর ডেভেলপমেন্টের কাউন্সেলর তিনি। মরিয়ম সুলতানা বলেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপ, একঘেয়েমি বোধ, একাকিত্ব কিংবা প্রতিকূল পরিবেশ মানুষকে এমন সমস্যার দিকে ঠেলে দেয়। আর এ সমস্যা বেশি দেখা দেয় কৈশোর ও মধ্যবয়সে।’

কিশোর-কিশোরীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। হয়তো পরিবারের নানা বিধিনিষেধে তারা হাঁপিয়ে ওঠে। আর বাকিদের ক্ষেত্রে সমস্যাটা দেখা দেয় অতিরিক্ত কর্মব্যস্ততা কিংবা সব সময় সফল হতেই হবে—এমন মনোভাব পোষণ করলে।

যাঁরা খুব ছোট পরিবারে বড় হয়ে ওঠেন, তাঁদের মধ্যেও অল্পতেই বিরক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় বলে মনে করেন মরিয়ম সুলতানা। যেহেতু মানুষটি তাঁর সমবয়সী কারও সঙ্গে খোলাখুলি মেলামেশা করতে বা কথা বলতে পারছেন না, তাই তাঁর মধ্যে একাকিত্ব দেখা দেবে। ফলে একটা সময় সবকিছুর প্রতি তাঁর একটা অনীহা কাজ করবে। অল্পতেই তিনি হয়ে উঠবেন বিরক্ত।

শিশুদের ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই। স্কুল বা কোচিংয়ের বিভিন্ন চাপ, পরিবারের বিভিন্ন আদেশ তাদের মধ্যে অনীহা তৈরি করে। আর যেহেতু শহরে এরা বেড়ে ওঠে একাকিত্বের সঙ্গে, তাই অনেক শিশুও অল্পতেই খিটখিটে মেজাজ করে থাকে। 

যা করা যায়ঃ 

* যে কাজটি করতে ভালো লাগছে না, আপাতত সেটা করবেন না। মন ভালো থাকলে কাজটি এমনিতেই ভালো হবে।

* পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগ না করে তাঁদের বুঝিয়ে বলুন।

* বন্ধুমহলেও রাগ না করে তাঁদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন, হয়তো আপনার এমন আচরণে বন্ধুরাও অনেকটা দূরে সরে গেছেন। সেই দূরত্বটা নিজে থেকেই কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন।

* সঠিক সময়ে খাবার এবং ঘুমের অভ্যাস করুন। খাবার তালিকায় সবজি এবং যথেষ্ট পরিমাণে পানি রাখুন। আর ঘুমটা হতে হবে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টার।

* ইয়োগা কিংবা নিয়মিত শরীরচর্চার ফলেও বিষণ্নতা কেটে যাবে। এ ছাড়া শরীরে রক্তপ্রবাহ এবং মাংসপেশি ঠিক থাকবে। বেশি কিছু না হলে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করুন।

* অবসরে কোথাও বেড়িয়ে আসুন। চাইলে প্রতি সপ্তাহেই কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। এতে মনের একঘেয়েমি কেটে উঠবে সহজেই।

* সমস্যাগুলোকে তালিকাভুক্ত করুন। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, আপনি কী করতে চান বা কোন ব্যাপারগুলো আপনাকে বাধা দিচ্ছে। নিজের কাজে দৃঢ়তা বজায় রাখুন।

* চাইলে কাউন্সেলরের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। এতে ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে উঠবে।

* তাহলে এবার মনটা প্রফুল্ল করেই ফেলুন!

+3 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল ডিভাইসে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা বেশিরভাগ মানুষের কিছু ভালো না লাগা বা কাজে মনোযোগ না থাকার কারণ।

শারীরিক পরিশ্রম না করা, পানি কম খাওয়া, ক্যালরি ইনটেক বেশি হওয়া, বায়োলজিক্যাল ক্লক ওলটপালট করে রাতে জেগে দিনে ঘুমানো, কম বিশ্রাম নেওয়া, অধিক সময় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা, সবার সাথে না মিশে বা কথা না বলে একা একা থাকা, গেমে আসক্তি এই সবকিছুই বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষের বিভিন্ন কাজে মনযোগ না থাকার ও কিছুই ভালো না লাগার অন্যতম কারণ।

উপরের এই কাজগুলো নিয়ন্ত্রণে আনলে আশা করা যায়, এই ভালো না লাগা সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আর কোনো কাজে মনোযোগ আনার জন্য বিভিন্ন জার্নাল মতে, ১০-১৫ মিনিট কাজ করা বা লেখাপড়া করার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবারও সেই কাজে ফিরুন। একনাগাড়ে কোনো কাজ করা যাবে না।

হ্যা, অনেকে এখন বলতে পারেন, "তাই বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার বাদ দিয়ে দিব?" মোটেও না। বরং আপনি আপনার ব্যবহার একটি নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় নিয়ে আসুন ও চেষ্টা করুন প্রতিদিন অল্প হলে শারীরিক পরিশ্রম করতে বা ৩০–৪০ মিনিট ব্যায়াম করতে। এতে আপনার শরীরও সুস্থ থাকবে, সাথে মনও ভালো থাকবে!

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,232 বার দেখা হয়েছে
12 মে 2022 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Habibur Rahman (120 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 557 বার দেখা হয়েছে
30 জুলাই 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন emonbhuiyan (300 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 308 বার দেখা হয়েছে

10,782 টি প্রশ্ন

18,485 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

438,003 জন সদস্য

49 জন অনলাইনে রয়েছে
7 জন সদস্য এবং 42 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Fatema Tasnim

    240 পয়েন্ট

  2. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

  3. rubactor05

    100 পয়েন্ট

  4. singertramp0

    100 পয়েন্ট

  5. actionwine60

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন
...