ধূমপান আসলেই একটি ব্যাধি। এটি সামাজিক ও শারীরিক ব্যাধি। ধূমপান অনেক সামাজিক বিপর্যয় নিয়ে আসে। আমরা একটু পথে-ঘাটে তাকালে দেখব, অসংখ্য মানুষ জলন্ত সিগারেট হাতে নিয়ে ঘুরছে। এটি একটি ভয়াবহ দিক। তবে যারা এ রকম করছে, তাদের কাছে এটি বড় কোনো বিষয় মনে হয় না। তারা এটিকে স্বাভাবিক মনে করে। মনে করে, এটি কোনো ব্যাপারই নয়। এটি আসলেই খুব জঘন্য একটি বিষয়। এর প্রভাব খুবই মারাত্মক।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, আমি একটি কবিতার লাইন বলতে চাই। ‘জ্বলন্ত সিগারেটে জ্বলে এ জীবন,/বুঝতে পারে না তবু প্রতারিত মন,/ধূমপানে পরিশেষে ঘনায় মরণ, তবু কেন ধূমপান চলে আজীবন?’
ধূমপানের প্রভাব কীভাবে বিস্তার হয় বলি। ধূমপানে তো অনেক ধোঁয়া বের হয়। চলাফেরার সময় এই যে ধোঁয়া বের হয়, এটি কিন্তু অনেক মানুষ সইতে পারে না। ধূমপানের ধোঁয়ার কাছে আসলে তার কাশি শুরু হয়ে যায়।
এই ধোঁয়ায় কিন্তু অনেক বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো, নিকোটিন। এ ছাড়া অসংখ্য বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে। অনেক মানুষ কিন্তু এই ধোঁয়ায় বিরক্ত হয়। তবে যারা ধূমপান করে তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় না।
আবার যারা ধূমপান করে না তারা মনে করে, আমি তো ভালোই আছি। কিন্তু ধূমপায়ীর আশপাশে থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সবাই হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানে কারণে সমস্যা হয়। যারা ধূমপান করে তাদের তো অনেক ক্ষতি হয়। তবে যারা ধূমপান করে না, তারাও এই পরিবেশের কারণে, ধোঁয়ায় কারণে পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। এটি তো পথে-ঘাটের ব্যাপার। তবে যারা বাড়িতে ধূমপান করে, যাদের ছোট শিশু তারাও কিন্তু আক্রান্ত হয়ে যায়। যারা বাড়িতে ধূমপান করছে তাদের কারণে কিন্তু ঘরের ছোট শিশুটি নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি মারাও যেতে পারে। এ বিষয়টি মানুষের জানা নেই। মানুষ বোঝে না। ধূমপান করাকে অনেকে ঐতিহ্য মনে করে। অনেকে অন্যকে প্ররোচিতও করে ধূমপান করার জন্য। এই মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।
ক্রেডিট: এনটিভি