নাকের দুই পাশে, আমাদের মুখের যে কিছু হাড় থাকে, এর ভেতরে এক ধরনের কুঠুরি থাকে। এখানে স্বাভাবিকভাবে বাতাস থাকে। এটি সাইনাস। সাইনাসের কাজ হলো ভেন্টিলেশনে সাহায্য করা। সাইনাসের ভেতরে কিছু মিউকোসা থাকে। এগুলো দিয়ে কিছু নিঃসরণ হয়। এখানে পানির মতো জমে। সেগুলো নাক দিয়ে বের হয়ে আসে। সাইনাসের কাজ হলো আমাদের মাথা বা এই এলাকাটাকে হালকা অনুভূত রাখা। যেহেতু বাতাস চলাচল করবে। আমরা যে কথা বলি সেখানেও এটি সাহায্য করে। সাইনাস নাকের দুই পাশে এবং কপালের উপরের দুইপাশে থাকতে পারে।
# যদি মুখ ফুলেও ঠেকিং বা দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আপনি হয়তো কোনো মারাত্মক অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন।
# যদি সাত দিনেও লক্ষণ গুলোর কোনো উন্নতি না হয়, সেক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে চিকিৎসার আশ্রয় নেয়া উচিত।
# যদি ব্যাকটেরিয়া বাহিত সাইনাসের সংক্রমণের কোনো চিকিৎসা করানা হয়, সে ক্ষেত্রে এটা হয়তো বছরের পর বছর ধরে আপনাকে ভোগাবে এবং এ সংক্রান্ত দীর্ঘ স্থায়ী ব্যথায় আপনাকে আক্রান্ত করবে।
# নাক দিয়ে দীর্ঘ স্থায়ী ভাবে সংক্রামক শ্লেষ্মার নির্গমন ব্রঙ্কাইটিস, দীর্ঘ স্থায়ী কাশি, কিংবা অ্যাজমা ইত্যাদি রোগের কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে।
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
* যেহেতু অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যা গুলো থেকে সাইনোসাইটিসের অবতরণ ঘটে, তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই এই সমস্যা গুলোর সমাধান করা।
* আপনার যদি অ্যালার্জিথাকে সেক্ষেত্রে জেনে নিন কি থেকে আপনার অ্যালার্জি হয়। ফলে আপনি নিজের স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
* ধূমায়িত এবং দূষিত পরিবেশ পরিত্যাগ করে চলুন। যদি আপনি ধূমপান করেন, তবে তা পরিত্যাগ করুন।
* ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখুন, যাতে সাইনাস নিজে থেকেই বেরিয়ে আসতে পারে।
* নাকে খুব বেশি জোরে যাতে আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।