মানুষের আবেগ, অনুভূতি ও ভালবাসার নেপথ্যে রয়েছে কতকগুলি জৈব রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া। স্নায়ুবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের প্রেমে পড়লে তার মস্তিষ্কে ধারাবাহিকভাবে কিছু নির্দিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এ রাসায়নিক পদার্থগুলো হলো-
• ফেরোমোনস (Pheromones)
• ডোপামিন (Dopamine)
• নরপিনেফ্রাইন (Norepinephrine)
• সেরেটোনিন (serotonin)
এ সকল কেমিক্যাল amphetamine (psychostimulant drug) ওষুধের মত কাজ করে এবং মস্তিষ্কের বিনোদন কেন্দ্র (pleasure centre)-কে উত্তেজিত করে। এ কেমিক্যালগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তখন মানুষের হৃদস্পন্দন বাড়ে, ক্ষুধা ও ঘুম হ্রাস পায় এবং প্রগাঢ় আবেগের সঞ্চার হয়। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, মানুষের আবেগসঞ্জাত এ অবস্থা সাধারণ দেড় থেকে তিনবছর স্থায়ী হয়।
মানুষের অন্তরে ভালবাসা বা আন্তর্ব্যক্তিক আকর্ষণ (interpersonal attraction) সৃষ্টির সাথে সম্পর্কযুক্ত টেস্টোস্টেরন ও ইস্ট্রোজেন হরমোনও মূলত বিশেষ জৈব রাসায়নিক পদার্থ। বিভিন্ন আন্তঃসম্পর্কীয় কমিটমেন্ট ও এটাচমেন্টের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক সৃষ্টির সাথে অক্সিটোসিন (oxytocin) ও ভেসোপ্রেসিন (vasopressin) নামক দু’টি উচ্চস্তরে কেমিক্যাল জড়িত। এ সকল রাসায়নিক পদার্থের কখনও যুগপৎ, কখনও পর্যায়ক্রমিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মানুষের ভেতরে প্রেম, ভালবাসা, আবেগ, কামনা, আসক্তি, বন্ধন, প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি তৈরি ও বিকষিত করে।
• Reference:
১. প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান
২. Wikipedia
৩. Google