Nishat Tasnim
শরীরচর্চার পাশাপাশি চোখের নিয়মিত যত্ন নিলে ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ নামের চোখের মারাত্মক অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তাক আহাম্মদ বলেন, বই পড়া, লেখালেখি কিংবা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করার সময় চোখের ওপর চাপ পড়ে। তাই প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০ সেকেন্ড চোখের বিশ্রাম জরুরি। এ ছাড়া কম্পিউটারের স্ক্রিনের রং সাদা কিংবা সবুজ রাখা ভালো। যাঁরা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে কাজ করেন, তাঁদের প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর চোখ পিটপিট করার পরামর্শ দেন। এতে চোখের শুষ্কতা দূর হয়।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখের কিছু ব্যায়াম আছে, যেগুলো নিয়মিত চর্চা করলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। এগুলো হলো—
চোখের পেশির রক্তসরবরাহ সচল রাখাতে দুই হাতের তালু কয়েক মিনিট ঘষে আলতোভাবে হাতের তালু দিয়ে আলাদা করে চোখ বন্ধ রাখুন পাঁচ সেকেন্ড। ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে থাকুন। এতে চোখের বিশ্রাম ও হবে।
চোখের মণি বৃত্তাকারে চারপাশে ঘোরাতে চেষ্টা করুন। প্রথমে ওপরের দিকে তাকান, তারপর ঘড়ির কাঁটা যেদিকে ঘোরে, সেদিকে ১০ সেকেন্ড এবং বিপরীত দিকে আরও ১০ সেকেন্ড ধীরে ধীরে ঘোরান। এতে চোখের ক্লান্তি দূর হবে; চোখের পেশিও শক্তিশালী হবে।
এক হাত দূরে একটি কলম নিয়ে সোজা কলমটির দিকে তাকিয়ে থাকুন। তারপর ধীরে ধীরে কলমটিকে কাছাকাছি নিয়ে আসেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না কলমটিকে ঘোলাটে দেখা যায়। এরপর আবারও কলমটিকে ধীরে ধীরে কাছে থেকে দূরে নিয়ে যান। খেয়াল রাখুন, চোখের দৃষ্টি যেন কলমের দিকে থাকে।
ঘুম চোখকে পরিপূণ বিশ্রাম ও পুনর্দৃষ্টির জন্য শক্তি দেয়। অপর্যাপ্ত ঘুম দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। চোখের সুরক্ষার জন্য প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।