তিমি পানির নিচে শ্বাসপ্রশ্বাস চলাতে পারে না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
790 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (4,460 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (5,060 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

১.দক্ষ শ্বাসযন্ত্র ব্যবস্থা

তিমির দৈহিক ব্যবস্থায় এমন কতগুলো বিশেষ উপাদান, অঙ্গ তথা ফ্যাক্টর আছে যেগুলো তিমির এই ব্যতিক্রমধর্মীতার বহিঃ প্রকাশ ঘটায়। শুরুতেই বলতে হয়,  তিমির একটি খুব দক্ষ শ্বাসযন্ত্র ব্যবস্থা আছে, যা তাদের একটি একক শ্বাসের প্রভাব সর্বাধিক সময় ধরে রাখতে সাহায্য করে। মজার তথ্য হলো, আমরা মানুষেরা বিশ্রামের সময় মিনিটে ১২ থেকে ২০ বার শ্বাস ফেলি এবং প্রতি একক শ্বাসে মাত্র ৫% অক্সিজেন শোষণ করি। কিন্তু এর বিপরীতে তিমির  বিশেষ দক্ষ শ্বাসযন্ত্র ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদই দিতে হয় কারন সে প্রতি শ্বাসে ৯০% অক্সিজেন শোষণ করে। তাইতো প্রতি শ্বাসে একটি তিমির মানুষের তুলনায় প্রচুর পরিমানে অক্সিজেন প্রয়োজন হয়।

২.শক্তির সংরক্ষন

একটি শ্বাসকে পূর্ণ ভাবে কাজে লাগাতে তিমিরা কয়েকটি কাজ করে। প্রথমত, তার হৃদস্পন্দনকে কমিয়ে ফেলে। দ্বিতিয়ত, তার বিভিন্ন অঙ্গ যেমন : মস্তিষ্ক, পেশীসমুহ, হৃদযন্ত্র রক্ত প্রবাহের হার কমিয়ে দেয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এসব করতে প্রানিটির রক্ত চাপের কোনো পরিবর্তন হয় না। এভাবে শক্তি সংরক্ষিত রেখে ধীরে ধীরে বন্টন করে।

 

image
 

 চিত্র : মায়োগ্লোবিন (image source: Wikipedia)

২.মায়োগ্লোবিন

তিমিদের জন্য সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো মাইোগ্লোবিন, অধিকাংশ স্তন্যপায়ীর পেশীগুলির মধ্যে উপস্থিত একটি প্রোটিন।

মায়োগ্লোবিনের  প্রাথমিক কাজ অক্সিজেন অণুর সাথে বন্ধন তৈরী করা, বা আরো সহজভাবে, অতিরিক্ত অক্সিজেন সঞ্চয় করা। অতএব, যখন আপনি অল্প সময়ের জন্য আপনার শ্বাস রাখেন,তখন মায়োগ্লোবিন যা আপনার শরীরের অক্সিজেন প্রদান করে।যেহেতু জলজ স্তন্যপায়ী বেশিরভাগ সময় পানির নিচে ব্যয় করে, তাদের পেশীগুলি স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মতো স্থল-ভিত্তিক স্তন্যপায়ীদের চেয়ে বেশি মায়োগ্লোবিন থাকে।এমনকি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীদের মধ্যে, তিমির মায়োগ্লোবিনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে তিমির পেশীগুলিতে ধনাত্মক  চার্জ বিশিষ্ট মায়োগ্লোবিন প্রোটিন রয়েছে। এই বিশেষ বৈশিষ্টের কারনে তিমি অন্যান্য স্তন্যপায়ীর তুলনায় তাদের পেশীতে আরো বেশী মায়োগ্লবিন প্যাকিংয়ে সহায়তা পায়। মাইগ্লোবিন প্রোটিন সাধারণত একসঙ্গে জোট বেঁধে থাকে, কিন্তু যখন তারা একই চার্জ চার্জিত থাকে, তখন তারা একে অপরকে বিকর্ষণ করে (যেমন চুম্বকের একই মেরু একে অপরকে বিকর্ষণ করে) এবং এই প্রোটিন অনুগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে। এই বৈশিষ্ট্যই অন্য স্তন্যপায়ীদের তুলনায় অনেক দূরে পর্যন্ত 'একটি তিমিকে শ্বাস' রাখতে সক্ষম করে।

0 টি ভোট
করেছেন (4,270 পয়েন্ট)
তিমি পানির নিচে শ্বাসপ্রশ্বাস চালাতে পারে না কারণ তাদের ফুসফুস রয়েছে। ফুসফুস বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এবং পানির নিচে বাতাস নেই। যদি তিমি পানির নিচে শ্বাস নিতে চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ফুসফুস পানিতে ভরে যাবে এবং তারা ডুবে যাবে।

তিমিরা তাদের ফুসফুস থেকে বাতাস বের করে দেওয়ার জন্য তাদের শরীরের উপরের অংশে একটি ছিদ্র ব্যবহার করে। এই ছিদ্রটিকে একটি স্পাইরাকল বলা হয়। যখন তিমি পানির নিচে থাকে তখন স্পাইরাকল বন্ধ থাকে। তিমি যখন শ্বাস নিতে চায় তখন তারা তাদের মাথা উপরে তুলে স্পাইরাকল খুলে দেয়।

তিমিরা তাদের ফুসফুসের মধ্যে বাতাস ধরে রাখতে পারে যাতে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পানির নিচে থাকতে পারে। কিছু তিমি প্রজাতি এক ঘন্টা বা তারও বেশি সময়ের জন্য পানির নিচে থাকতে পারে।

তিমিরা তাদের ডান ফুসফুস থেকে বাতাস বের করে দেয় এবং তাদের বাম ফুসফুস থেকে বাতাস নেয়। এই ব্যবস্থাটি তিমিদের তাদের ফুসফুসের মধ্যে বাতাসকে আরও ভালভাবে ব্যবহার করতে দেয়।

তিমিরা তাদের ফুসফুসের পরিবর্তে তাদের ত্বক দিয়েও অক্সিজেন শোষণ করতে পারে। তবে, এই পদ্ধতিটি খুব দক্ষ নয়, এবং তিমিরা বেশিরভাগ অক্সিজেন তাদের ফুসফুসের মাধ্যমে পায়।

সর্বপরি কথা হচ্ছে, তিমিরা পানির নিচে শ্বাস নিতে পারে না কারণ তাদের ফুসফুস রয়েছে। ফুসফুস বায়ুতে শ্বাস নেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এবং পানির নিচে বাতাস নেই।

আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। ধন্যবাদ!

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 459 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 635 বার দেখা হয়েছে
26 ফেব্রুয়ারি 2023 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fatema Tasnim (5,680 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 648 বার দেখা হয়েছে
20 ফেব্রুয়ারি 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rayhan Shikder (9,310 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 396 বার দেখা হয়েছে

10,863 টি প্রশ্ন

18,562 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

860,984 জন সদস্য

25 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 25 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. fly88eco

    100 পয়েন্ট

  2. fly88innet

    100 পয়েন্ট

  3. hitclubcare

    100 পয়েন্ট

  4. sunwin1to

    100 পয়েন্ট

  5. lc88skcoolcenter

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক #ask শরীর রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান প্রযুক্তি সূর্য স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা বাতাস ভয় স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন দাঁত ভাইরাস আকাশ গতি কান্না বিড়াল আম
...