ডুবুরিরা পানির নিচে যাওয়ার সময় অক্সিজেন এর সাথে নাইট্রোজেন গ্যাস এর মিশ্রনই শুধু নিয়ে যায় না, হিলিয়াম ও নিয়ে যায়।
গভীর সমুদ্রে ডুবুরিরা নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য সংকুচিত বাতাস (Compresed air) ব্যবহার করেন। হেনরির সূত্র থেকে আমরা বলতে পারি যে, সাধারণ চাপ যুক্ত বাতাস অপেক্ষায় উচ্চচাপে সংকুচিত বাতাস রক্ত ও দেহের মধ্যস্থ অন্যান্য তরলে বেশি দ্রবীভূত হয়। এ দ্রবীভূত বাতাসের বেশিরভাগ অক্সিজেন যুক্ত যৌগই বিপাকে অংশগ্রহণ করে। যখন ডুবুরিরা সমুদ্রের গভীর থেকে পৃষ্ঠতলে ফিরে আসে, দেহের রক্তে দ্রবীভূত অক্সিজেন ছোট ছোট বুদবুদ আকারে বেরিয়ে যেতে থাকে যার ফলে রক্তের প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি হয়। এর ফলে দেহ দুর্বল হয়ে পড়ে ও বধির অথবা বিকলাঙ্গ এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় হল সংকুচিত বাতাসকে অপেক্ষাকৃত কম হিলিয়াম গ্যাস দ্বারা লঘু করা অথবা বাতাসে হিলিয়াম ও অক্সিজেনের মিশ্রণ ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে হিলিয়াম নাইট্রোজেন অপেক্ষায় কম দ্রবীভূত হওয়ায় রক্তে এটি শোষণ অনেক কম হয়। সাধারণত নিঃশ্বাসের জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামে ( যাকে Scuba বলে) He 11.7%, O2 32.1%, N2 26.2% এর মিশ্রণ নেওয়া হয়।
সোর্স- ইন্টারনেট