ভ্যান অ্যালেন বেল্ট বলতে কি বুঝায় ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
277 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (5,060 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (5,060 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
স্যার Van Allen পৃথিবীবাসীর কাছে গবেষনালব্ধ ফলাফল প্রকাশ করে বলেন যে, আমাদের পৃথিবী পৃষ্ঠের নীচে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী Magnetic field আছে যা আমাদের বায়ুমণ্ডলের চারপাশে একটি বেল্টের মতো বলয় সৃষ্টি করেছে, পরবর্তীতে আরো অনেক গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীগণ এ বিষয়ে নিশ্চিত হন। স্যার Van Allen-এর নামানুসারে এ বলয়ের নামকরণ হয় “Van Allen belt”। জীবনের অবিরাম গতিধারা বজায় রাখার জন্য পৃথিবীকে ঘিরে যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে তা বেশ গুরত্বপূর্ণ কাজ করে যা‪চ্ছে। যখন ছোট-বড় বহু উল্কা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, তখন বায়ুমণ্ডল এদের বেশিরভাগকেই ভূপৃষ্ঠে পতিত হতে দেয় না। এভাবে পৃথিবীর জীবজগতকে উল্কা পতনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচিয়ে দেয় বায়ুমণ্ডল। তা ছাড়া মহাশূণ্য থেকে জীবিত বস্তু সমূহের জন্য ক্ষতিকর যে রশ্মি নির্গত হয় তাকে ফিল্টার করে বা ছেঁকে শোধন করে বায়ুমন্ডল। কৌতুহলের ব্যাপারটি হলো এই যে, যেসব রশ্মিসমূহ জীবের জন্য ক্ষতিকর নয়, বরং উপকারী; যেমন- সূর্যের আলো, Near Ultraviolet Ray, বেতার তরঙ্গকেই বায়ুমণ্ডল অতিক্রম করতে দেয়। এ সমস্ত রশ্মি জীবনের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। Ultraviolet Ray, যেটি কিনা কেবল আংশিকভাবে বায়ুমণ্ডল কর্তৃক আসতে পারে, তা উদ্ভিদের সালোক সংশ্লেষণ আর সমস্ত জীবসমূহের টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে যে অতি গাঢ় আল্ট্রভায়োলেট রশ্মি নির্গত হয়, তা বায়ুমন্ডলের ওযোন স্তর দিয়ে ফিল্টার হয়; এভাবে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির অত্যন্ত সীমিত আর অতি প্রয়োজনীয় অংশ ভূপৃষ্ঠে এসে পোঁছে। বায়ুমন্ডলের সুরক্ষার কাজ এখানেই শেষ হয়না, মহাশূণ্যের প্রায় -২৭০০ সেলসিয়াসের মতো বরফ ঠাণ্ডা তাপমাত্রা থেকেও বায়ুমন্ডল পৃথিবীকে রক্ষা করে থাকে।

সূর্যে প্রতি মিনিটে বিস্ফোরণের ফলে নির্গত শক্তি যে কি পরিমাণ ক্ষমতা রাখে তা আমাদের কল্পনাতীত। এর একটিমাত্র বিস্ফোরণ হিরোশিমায় পতিত ১০০বিলিয়ন এটম বোমার সমতুল্য। বায়ুমণ্ডলের ভ্যান অ্যালেন বেল্টের জন্য এই শক্তির ক্ষতিকর দিক থেকে মহাবিশ্ব নিরাপদ রয়েছে। মানব জীবনের জন্য পূর্ণাঙ্গ সামঞ্জস্যপূর্ণ করে সৃষ্ট পৃথিবী থেকে বায়ুমণ্ডলের বাইরে মহাশূণ্যে যদি আমরা সরে যাই, তবে প্রচন্ড বরফ শীতল ঠাণ্ডার কবলে পড়বো। পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড দ্বারা তৈরী ম্যাগনেটোস্ফিয়ার স্তর পৃথিবীকে মহাশূণ্যজাত বস্তুর ক্ষতিকর কসমিক রশ্মি এবং কণাসমূহ থেকে নিরাপদে রাখার জন্য বর্ম হিসেবে কাজ করে। পৃথিবী থেকে সহস্র সহস্র কিলোমিটার উপরে অবস্থিত এই বেল্টটি মারাত্মক ক্ষতিকর শক্তি থেকে পৃথিবীর জীব জগৎকে রক্ষা করে যা‪চ্ছে, নচেৎ মহাশূণ্য থেকে ভয়ানক এই শক্তি পৃথিবীতে এসে পৌঁছাত। এ সমস্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যাদি প্রমাণ করে যে, বিশেষ এক পদ্ধতিতে পৃথিবী নিরাপদ রয়েছে।

ভ্যান এলেন বেল্ট যদি না থাকতো তবে সূর্যের ভেতরে ঘন ঘন সংঘঠিত বিশাল বিস্ফোরনের শক্তি যা Solar Flare নামে পরিচিত তা পৃথিবীর সমগ্র প্রাণী জগতকে ধ্বংস করে দিতো। আমাদের জীবনের জন্য ভ্যান এলেন বেল্টের গুরত্বের কথা বলতে গিয়ে ড. হিউগ রস বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে সৌরজগতের অন্য যে কোন গ্রহের চাইতে আমাদের পৃথিবীর ঘনত্ব অনেক বেশী। বিশাল নিকেল-লৌহ স্তর আমাদের বিশাল ম্যাগনেটিক ফিল্ড-এর জন্য দায়ী। এই ম্যাগনেটিক ফিল্ডটিই ভ্যান এলেন রেডিয়েশন বর্মটি তৈরী করেছে যা রেডিয়েশনজনিত গোলাবর্ষণ থেকে ভূপৃষ্ঠকে রক্ষা করছে। এই বর্ম বা ঢালটি না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব অসম্ভব হয়ে দাঁড়াতো।’

বুধ আরেকটি পর্বতময় গ্রহ যার ম্যাগনেটিক ফিল্ড রয়েছে। এই স্তরের ক্ষমতা পৃথিবীর ভ্যান অ্যালেন বেল্টটির চেয়ে ১০০ গুণ কম। এমনকি শুক্র গ্রহ যেটি আমাদের পাশের গ্রহ যার কোন ভ্যান অ্যালেন বেল্টই নেই। ভ্যান অ্যালেন রেডিয়েশনের এই ঢালটি একমাত্র পৃথিবীর জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে বিশেষরূপে।
0 টি ভোট
করেছেন (4,270 পয়েন্ট)

ভ্যান অ্যালেন বেল্ট হল পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের অভ্যন্তরীণ অংশে অবস্থিত শক্তিশালী চার্জিত কণাসমূহের এলাকা। এই কণাগুলির মধ্যে অধিকাংশই সৌর বায়ু থেকে উদ্ভূত, যা গ্রহের চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা গ্রহ তার চারপাশে ধরে রাখে। ভ্যান অ্যালেন বেল্টের দুটি প্রধান অংশ রয়েছে:

  • ভিতরের বেল্ট: এই বেল্টটি পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের অভ্যন্তরীণ অংশে অবস্থিত এবং প্রায় 600 কিলোমিটার থেকে 10,000 কিলোমিটার উচ্চতায় বিস্তৃত। এই বেল্টে মূলত ইলেকট্রন এবং প্রোটন থাকে, যার শক্তি 10 থেকে 100 মেগাইলেকট্রন ভোল্ট (MeV) পর্যন্ত হতে পারে।
  • বাইরের বেল্ট: এই বেল্টটি পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের বাইরের অংশে অবস্থিত এবং প্রায় 10,000 থেকে 60,000 কিলোমিটার উচ্চতায় বিস্তৃত। এই বেল্টে মূলত প্রোটন থাকে, যার শক্তি 100 থেকে 1000 MeV পর্যন্ত হতে পারে।

ভ্যান অ্যালেন বেল্টগুলি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের জন্য একটি বড় হুমকি। এই কণাগুলি মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং স্যাটেলাইটের জন্যও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

ভ্যান অ্যালেন বেল্টগুলি আবিষ্কার করেন জেমস ভ্যান অ্যালেন, যিনি ১৯৫৮ সালে এগুলিকে আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি একটি রকেট দ্বারা মহাকাশে পাঠানো একটি যন্ত্র ব্যবহার করে এই কণাগুলির অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছিলেন।

ভ্যান অ্যালেন বেল্টগুলির কিছু সম্ভাব্য ব্যবহার রয়েছে, যেমন:

  • জ্যোতির্বিজ্ঞান: এই বেল্টগুলি মহাকাশ থেকে আগত কণাগুলির গবেষণার জন্য একটি মূল্যবান উৎস।
  • চিকিৎসা: এই বেল্টগুলির কণাগুলি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • শক্তি উৎপাদন: এই বেল্টগুলির কণাগুলি ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। ধন্যবাদ!

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 322 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 441 বার দেখা হয়েছে
30 অগাস্ট 2023 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন তাসবান (160 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 1,283 বার দেখা হয়েছে
07 সেপ্টেম্বর 2022 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন hassanmamun (170 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
5 টি উত্তর 697 বার দেখা হয়েছে
08 জানুয়ারি 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 3,640 বার দেখা হয়েছে
05 জানুয়ারি 2022 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)

10,826 টি প্রশ্ন

18,533 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

749,115 জন সদস্য

69 জন অনলাইনে রয়েছে
38 জন সদস্য এবং 31 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...