Nishat Tasnim
মোবাইল ফোনের স্ক্রিন থেকে নির্গত হওয়া ব্লু লাইট যখন আপনার চোখে যায়, তখন আপনার মস্তিষ্কে বার্তা আসে যে "এখন ঘুমোবার সময় নয়!"
এর কারণ মোবাইলর ব্লু লাইটে ঠিক একই ধরণের আলো থাকে, যা সূর্য আমাদেরকে দিনের বেলা দেয়। আপনি হয়তবা খেয়াল করে থাকবেন, যে সারারাত জেগে আপনি যদি দিনের বেলা সূর্যের আলোতে যান, তাহলে আপনার ঘুমের প্রভাব অনেকটাই কেটে যায়। ঠিক একই ভাবে রাতের বেলা যখন আপনি মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত, তখন স্ক্রিন থেকে নির্গত হওয়া সেই একই ধরণের আলো আবারো আপনাকে জাগিয়ে রাখার কুমতলব করে। যার ফলে মস্তিষ্ক মনে করে যে এটা দিন এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাথে নিজেকেও কাজ করার জন্য প্রস্তুত রাখে।
এতে কি চোখের ক্ষতি হয়?
আপনি অবশ্যই শুনে থাকবেন এবং সেই সাথে বিশ্বাস করে থাকবেন যে মোবাইল বা ল্যাপটপের দিকে বেশি তাকিয়ে থাকলে চোখের ক্ষতি হয়! আবার অনেকে তো আপনা আপনিই তা উপলব্ধি করে ফেলে!
যাই হোক, এবার আসল কথায় আসি। এখন পর্যন্ত এটা কোনখানে প্রমাণ হয়নি, যে মোবাইলের দিকে বেশি তাকিয়ে থাকলে চোখের ক্ষতি হয় অথবা চোখের শক্তি কমে যায় এবং যার কারণে চশমা নিতে হয়। ব্যাপারটা আসলে তা না, যা আমরা ভাবছি। যে চশমা পড়ে, সে মোবাইল ব্যবহার করুক আর না করুক, চশমা একদিন না একদিন তাকে নিতেই হবে।
হ্যা, মোবাইলের ব্লু লাইট আমাদের ক্ষতি করে, তবে সেটা চোখের দিক দিয়ে নয়, ঘুমের দিক দিয়ে। গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল চালানোর ফলে হয়তবা সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে যায়, যার ফলে কোন দরকারি কাজ হয়তবা সময়মতো শেষ করা যায় না।
তাই বিভিন্ন অ্যাপ আছে যারা মোবাইল স্ক্রীনে নীলের থেকে বেশি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের (কম ক্ষমতার আলো যেমন লাল, হলুদ এবং যেগুলির ক্ষতিকর প্রভাব নেই) কোনো আলোর আস্তরণ দিয়ে বা স্ক্রীনের আলোর টোন পাল্টে নীল আলোর নিঃসরণ কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়।
যেহেতু আমরা এই যুগে ডিজিটাল স্ক্রীনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছি, তাই ব্লু লাইট থেকেও রেহাই নেই তাই চেষ্টা করতে হবে চোখ বাঁচাতে ব্লু লাইট যতটা সম্ভব কম গ্রহণ করার। সেইজন্যে ব্লু লাইট ফিল্টার খুবই প্রয়োজনীয়। অ্যাপ হোক বা অ্যান্টি রিফ্লেক্টিভ অর্থাৎ ব্লু লাইট ফিল্টার করার ক্ষমতা যুক্ত স্ক্রীন গ্লাস।