Nishat Tasnim: সাধারণত, বিষ মেয়াদ উত্তীর্ন হলে, এটি যেমন কম বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে আবার আরও বেশি বিষাক্ত ও হতে পারে ,তবে বিষ সর্বদা বিষই থাকে।বিষ,এক প্রকার রাসায়নিক (উপাদান)যা খাওয়া হলে / শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহন করলে /শরীরে ইনজেক্ট করলে বা ত্বকের মাধ্যমে শুষে নিলে তা অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতির বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
রাসায়নিক দিক দিয়ে বিষ দুই প্রকারঃ জৈববিষ ও অজৈব বিষ।
ফার্মাসিটিউকেল প্রোডাক্টের ( উপাদান,যৌগ,ড্রাগ বা মেডিসিন যা চিকিত্সার জন্য থেরাপিউটিক কাজে ব্যবহার করা হয়) মেয়াদ উত্তীর্ন তারিখ বলতে বোঝায় প্রোডাক্টটি ওই তারিখ পর্যন্ত শতভাগ নিরাপদ এবং শতভাগ কাজ করতে সক্ষম।
এর পরবর্তী সময়ে এটি এর কার্যকারিতা হারাতে থাকে।মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার মানে এই না যে তারপর প্রডাক্টি আর কাজ করবে না। কাজ করবে তবে শতভাগ করবে না এবং ঔ ডেটের পর ফার্মাসিটিউকেল কোম্পানিটি ঔ প্রোডাক্টের কোন প্রকার ইফেক্টের(পজেটিভ বা নেগেটিভ) দায়ভার বহন করবে না।
জৈব বিষ মেয়াদোত্তীর্ণ হলেঃ
জৈব বিষের ক্ষেত্রে মেয়াদ উত্তীর্ণের সাধারনত দুটি তারিখ থাকে।
১। কতদিন পর্যন্ত প্যাকট বিষটি ( zipped) শতভাগ কার্যকর এবং
২।খােলার পর (unzipped)কতদিন পর্যন্ত বিষটি শতভাগ কার্যকর।
প্রথমত,
বেশিরভাগ জৈব বিষ (কিটনাশক আগাছানাশক, প্রানী ও উদ্ভিদষ্ত বিষ) সময়ের সাথে সাথে তার গাঠনিক উপাদাননে ভেঙে যায় এবং তাদের বিষাক্ততা আস্তে আস্তে হারাতে থাকে। ফলে এগুলি কম বিষাক্ত হয়ে যায় (প্রশমিত ও হয়ে যেতে পারে)।
এর অর্থ পূর্বে নিদিষ্ট কাজের জন্য যে ডোজটি কাজ করতে তা আর কাজ করবে না। ঔ কাজটির জন্য আপনার আরো বড় ডােজ প্রয়োগ করতে হবে । তবে বিষটি সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর হওয়ার জন্য আপনাকে এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
দ্বিতীয়ত
কিছু জৈব বিষের ক্ষেত্রে এর বিপরীত ঘটনা ঘটে থাকে। মেয়াদ উত্তীর্ন তারিখের পরে এগুলি তার গাঠনিক উপাদাননে ভেঙে যেতে শুরু করে এবং আরও বেশি বিষাক্ত পদার্থে পরিণত হয়। এর অর্থ নিদিষ্ট কাজের জন্য প্রথমে যে ডোজটি কাজ করতে ঔ একই কাজের জন্য আপনার আরো কম ডােজ প্রয়োগ করতে হবে।
অজৈব বিষঃ
অজৈব বিষগুলির (যেমন ভারি ধাতু) জৈব বিষগুলোর মতাে গাঠনিক উপাদানে ভেঙে পড়ার প্রবণতা থাকে না।
তবে এগুলির মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার তারিখ রয়েছে কারণ এগুলি ক্ষয় হয়, বায়ু থেকে আর্দ্রতা শােষণ করে,পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে রাসায়নিকভাবে ফর্ম পরিবর্তন করে।
ফলে, এটি তার রাসায়নিক ফর্ম পরিবর্তন করে পূর্বের তুলনায় কম/বেশি বিষাক্ত বিষ তৈরি করতে পারে বা প্রশমিত হয়ে যেতে পারে।
কম বিষাক্ত হলে এটি ব্যবহারে কয়েক মিনিট/ঘন্টোর মধ্যে প্রাণীটির মৃত্যু হওয়ার পরিবর্তে কয়েক দিন বা মাস লাগতে পারে। বেশি বিষাক্ত হলে অল্প সময়েই মৃত্যু ঘটাতে পারে।