গ্রাফিক্সঃ গোটা ভিজ্যুয়াল প্রোপার্টি। মানে কম্পিউটার নির্মিত যা দেখছি সব। বাকি সমস্ত কিছু এর মধ্যেই পড়ে। মানে কার্টুন হোক, অ্যানিমেশন হোক, অ্যানিমে হোক, মুভি-সিরিজে ব্যবহৃত ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস হোক, গেমের মধ্যে যা কিছু দেখি তার সবটুকু হোক, এই সবই গ্রাফিক্স। শব্দটা গ্রীক শব্দ গ্রাফিকোস থেকে এসেছে যার অর্থ চিত্র বা চিত্রিত রুপ। গ্রাফ শব্দটার উৎপত্তিও ঐ একই বিষয় থেকে।
অ্যানিমেশনঃ যেকোনো মোশন গ্রাফিক্সই অ্যানিমেশন। হোক সেটা কার্টুন, থ্রিডি বা ফটো রিয়্যালিস্টিক গ্রাফিক্স।
কার্টুনঃ 2d অ্যানিমেশন, যেটাতে কাহিনীর গভীরতা সচরাচর কম থাকে, গুরুগম্ভীর এবং অতি জটিল বিষয় যেগুলো বুঝার জন্য একটা নির্দিষ্ট বয়সের বোধগোম্যতা থাকতে হয় এমন বিষয়াদির সমাহার কম থাকে, দৃশ্যগত তথ্য বা ডিটেইলিং কম থাকে, শ্যাডো ও লাইট এর তেমন নিখুত বা সুক্ষ্ম সমন্বয় থাকে না।
সচরাচর শিশুদের জন্য তৈরী করা হয়।
অ্যানিমেঃ কার্টুনের উচ্চমার্গীয় রুপ। যার উৎপত্তি জাপান থেকে। মূলত এই নামটা অ্যানিমেশনেরই সংক্ষিপ্তরুপ কিন্তু এখানে m এর পর e আসার কারণ হচ্ছে জাপানী উচ্চারণে শব্দটা হয় Animeshon. যেমন তারা মিল্ক কে বলে মিরুকু !
তবে অ্যানিমের গঠণগত পার্থক্যের দরুন সাধারণ কার্টুন থেকে তাদের স্থান কেবল নামেই আলাদা থাকেনি, তাদের স্বকীয়তাই পুরোদস্তুর ভিন্ন হয়েছে।
এর মূল কারণ জাপানে ভিজ্যুয়াল আর্ট তথা মাঙ্গা (জাপানী কমিক্স) আর কার্টুন (অ্যানিমে) নিছক বাচ্চাদের আগ্রহ ও বিনোদনের বিষয় নয়, বরঞ্চ বড়দের বিনোদনের একটা বড় খোড়াক এবং এই দুই জগতের লেখক, চিত্রকর , বা অ্যানিমেশন সিরিজ - মুভিগুলো অন্যান্য দেশের খুব উচুমানের ঔপন্যাসিক, চিত্রকর আর হলিউডের মুভি বা লাইভ অ্যাকশন সিরিজের মতোই সমাদৃত।
এর বড় এবং প্রধান কারণ হলো কাহিনীর গভীরতা।
অ্যানিমে হোক বা মাঙ্গা, এগুলোর কাহিনী অত্যন্ত সুগঠিত আর গভীর হয়, কাহিনীর ভাবার্থ বড়দের জন্যতো উপযোগী বটেই এমনকি অধিকাংশ সময় কেবল বড়দের জন্যই উপযোগী হয়, যা অনেকটাই কার্টুনের বিপরীত। গ্রাফিক্স কোয়ালিটি ভালমানের হয়, বিষয়বস্তুর ও সারকথা প্রায়সময় এতোটা সুন্দর হয় যে একটা অ্যানিমে দেখেও অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্না করে বসতে পারে। বা মুগ্ধ ও বিস্মিত হয়ে যেতে পারে।