প্রাকৃতিক পানীয় তরমুজ গরমের সময় শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে, শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং শরীরে হাইড্রেশন সরবরাহ সহায়ক। এটি ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘পটাশিয়াম’, ম্যাগনেশিয়াম এবং ‘ক্যারোটিন’ জাতীয় খাদ্যপানীয়। এটি সুস্বাদু পুষ্টিমান সম্পন্ন ফলজ এবং শরীরস্থ ক্ষতিগ্রস্থ কোষসমূহ পুনরুদ্ধার সহায়কও বটে। তাই তরমুজ গরমের সময় মনুষ্য শরীরের জন্য খুবই উপকারী ও নিরাপদ একটি পানীয় ফল, যা জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্যও উপকারী ফলদায়ক। তরমুজের পানির উপকারিতার সাথে ডাবের পানির উপকারিতার সামঞ্জস্যতার কথাও তুলনা করা যেতে পারে, যেন একে অপরের পরিপূরক। তরমুজ পশুচিকিৎসা বিষয়ক উপাদানও বটে এবং তরমুজের পাতা পশুদের জন্য ক্ষতিকারক কীট ও জীবাণু নাশক। মনুষ্য শরীরে ডায়রীয়া সমস্যা মোকাবেলায় তরমুজের পটাশিয়াম, ফিবার, ভিটামিন সি এবং নিউট্রিএন্ট খুবই কার্যকরী ফলদায়ক। তাছাড়া ক্যান্সার, হৃদরোগ ও কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণেও ফলদায়ক। তরমুজ একটি স্বাস্থ্যকর ভিটামিন, মিনারেল ও এন্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত খাদ্য-পানীয়। এটি শরীরে ওজন কমানোর জন্যও উত্তম দাওয়াই। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটমিন এ ও সি থাকায় এটি চোখের সমস্যার জন্যও ফলদায়ক। তাছড়া হার্টসুস্থ রাখা, শ্বাসকষ্ট দূর করা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও তরমুজ উপকারী বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিধানে জানা যায়। এই হলো সংক্ষিপ্ত পরিসরে তরমুজের উপকারিতার বিবরণ, যার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ভিত্তিক লিখা লিখতে গেলে নান্দনিক ভাষাশৈলীর কলেবরে একটি বিরাট রচনা হয়ে যাবার।