কোনো ব্যক্তির পাশের ব্যক্তি হাই তুললে ঐ ব্যক্তির হা্ই আসে কেন ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
419 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (140 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (4,640 পয়েন্ট)
হাই তোলা হাসি ও কান্নার মতোই সংক্রামক একটি ব্যাপার। একজনকে হাসতে বা কাঁদতে দেখলে আমরা যেমন হাসি বা কাঁদি তেমনি একজনকে হাই তুলতে দেখলে অন্যজনেরও হাই ওঠে।

হাই তোলার ঘটনা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। বাসে, ট্রেনে, কিংবা রাস্তাঘাটে কেউ হাই তুললেই অন্যজনও হাই তুলে তার প্রতিক্রিয়া জানান। কিন্তু কেনো এমন হয়, তা নিয়ে নানা জনমত প্রচলিত থাকলেও এর বেশির ভাগটাই কল্পনা। এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তিও নেই।

চিকিৎসকরা বলছেন, এ রকম হওয়ার কারণ মূলত শরীরে মিরর নিউরোনের উপস্থিতি। অনেক সময়ে দেখা যায় অন্য কাউকে আঘাত করলে, শারীরিকভাবে না হলেও মানসিকভাবে ব্যথা অনুভূত হয়।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষ তো আসলে দলবদ্ধ জীব। তাই সব সময়ে দলগতভাবে চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করতে ভালোবাসে। প্রাচীনকাল থেকেই এ ধারা চলে আসছে। কাউকে ঘুরতে যেতে দেখলে তখনই ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। খেতে দেখলে খেতে ইচ্ছে করে। ঘুমাতে দেখলেও ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। একই কারণে হাই তুলতে দেখলেও অসচেতন ভাবেই হাই উঠে যায়।

 গবেষণায় দেখা গেছে, এক শিম্পাঞ্জির হাই তোলার ভিডিও করে অন্য এক দল শিম্পাঞ্জিকে দেখানো হয়েছিল। পরে দেখা যায়, শিম্পাঞ্জির হাইয়ের ভিডিও দেখে বাকি শিম্পাঞ্জিদেরও হাই ওঠে। একে ‘মিররিং বিহেভিয়ার’ বলা হয়।

গবেষকরা বলছেন, এ দেখা দেখি হাইয়ের জন্য দায়ী একমাত্র মিরর হরমোন। যে হরমোনের উপস্থিতি মানুষের শরীরে আছে। যার ফলে এমনটা হয়।

(সূত্র: আনন্দবাজার)

মিরর নিরন্তর সিস্টেম সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক...

মিরর নিউরন সিস্টেম (এমএনএস), যার মধ্যে প্রিমোটর কর্টেক্স, ইনফিরিয়র প্যারিটাল লোব, এবং মোটর এবং সোমাটোসেন্সরি কর্টেক্স জড়িত থাকে, যখন কেউ একটি মোটর অ্যাকশন করে বা অন্য কোনও ব্যক্তিকে একই ক্রিয়া করতে দেখে, এইভাবে একটি সম্ভাব্য নিউরাল মেকানিজম প্রদান করে যার মাধ্যমে আমরা অন্যের বুঝতে পারি। এই মোটর অনুকরণন সামাজিক মিথস্ক্রিয়াতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে কারণ মিথস্ক্রিয়ায় একজনের সামাজিক অংশীদারের কর্ম এবং উদ্দেশ্যগুলির সাথে চলমান সমন্বয় এবং ভবিষ্যদ্বাণী জড়িত। যাইহোক, MNS-এর বেশিরভাগ নিউরোইমেজিং গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একটি বস্তুর জন্য একটি বিচ্ছিন্ন হাতের নাগাল দেখা জড়িত, অংশগ্রহণকারীদের মাঝে মাঝে ক্রিয়াটি অনুকরণ করতে বলা হয়। রিয়েল-টাইম সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় অংশীদারদের মধ্যে কাজগুলি অনুকরণীয় নয়, পরিপূরক হতে থাকে। সুতরাং, এই অধ্যয়নগুলি সরাসরি সামাজিক মিথস্ক্রিয়াতে MNS বা মিররিং প্রক্রিয়াগুলির ভূমিকাকে সরাসরি সম্বোধন করে না।( source : science direct)

ধন্যবাদ-

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 333 বার দেখা হয়েছে
+12 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,410 বার দেখা হয়েছে
10 ডিসেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Zubayer Mahmud (11,220 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
3 টি উত্তর 880 বার দেখা হয়েছে
11 ডিসেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Zubayer Mahmud (11,220 পয়েন্ট)
+17 টি ভোট
1 উত্তর 1,330 বার দেখা হয়েছে
31 মার্চ 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,130 পয়েন্ট)
+11 টি ভোট
3 টি উত্তর 507 বার দেখা হয়েছে
29 ডিসেম্বর 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ahnaf Tahmid (5,090 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,615 জন সদস্য

104 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 102 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...