যখন অন্য কেউ হাই তোলে বা জল পান করে, তখন নিজের হাই আসে বা পিপাসা লাগে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
386 বার দেখা হয়েছে
"চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
কখনও দেখেছেন আপনি হাই তুলছেন আর আপনার পাশের ব্যক্তি হাই তোলেনি! বা আপনি ফোনে কথা বলছেন, ওপার থেকে হাইয়ের আলতো শব্দে অাপনিও হেলো বলার ঢঙে হাই তুলে প্রতিক্রিয়া জানাননি! কারও জীবনে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি কেউই বোধহয় হলফ করে বলতে পারবে না। কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন কেন এমনটা হয়? হাই কেন এত ছোঁয়াচে? একজনের দেখাদেখি অন্যের হাই কেন ওঠে?

সাধারণ মানুষ এর কোনও উত্তর খুঁজে পান না। অনেকে নানা যুক্তিও খাড়া করেন। তর্কও বেধে যায় মুহূর্তে। এত দ্রুত ছোঁয়াচে কিছু আছে কি না তা সত্যিই গবেষণার বিষয়। এই বিষয়ে নিরন্তর গবেষণাও চলছে। বিশিষ্টদের মতে, এটা এক ধরনের “সোশাল বিহেভিয়ার’’। এটা হওয়ার মূল কারণ আমাদের শরীরে মিরর নিউরোনের ভূমিকা। সামাজিক ভাবে দলবদ্ধ আচরণ করতে মানুষ ভালবাসে। আদিমকাল থেকেই মানুষের অভ্য়াস দলগত ভাবে শিকারে যাওয়া, ঘুমানোসহ নানা কিছু। তারই প্রতিফলন এই দেখাদেখি হাই তোলা। এই বিষয়ের ওপরে নিউরো সায়েন্টিস্টরা অনবরত গবেষণা করছেন।

নিউরো সায়েন্স রিসার্চ করলেও এখনও জানার অনেক কিছু বাকি রয়েছে। হিউম্য়ান ব্য়বহার খুব “কমপ্লেক্স সাবজেক্ট’’। বিশিষ্ট চিকিৎসক রবীন্দ্র জৈন বলেন, “কোন মহিলা বা শিশুকে মারলে আপনিও ব্য়থা অনুভব করেন। শারীরিক ভাবে না হলেও মানসিক ভাবে। এটা সমব্য়াথী বিহেভিয়ার। আপনার ব্য়থা আমি অনুভব করছি।’’ তিনি বলেন, “শিম্পাঞ্জির ওপর জুরিখে গবেষণা করা হয়েছিল। ওদের হাই তোলার ভিডিও দেখানো হয়েছিল। পাঁচ-ছয়জন বসে হাই তুলছে। এটা মিররিং বিয়েভিয়ার। ওরাও ওই ভিডিও দেখে হাই তুলেছে। এটা সোসাইটি থেকে আলাদা নয়। একমাত্র সমাজবিরোধী মানসিকতা থাকলে ওটা না-ও হতে পারে। সমাজে থাকলে এটা হতেই হবে।’’

বিষয়টাকে ঠিক মেক্সিকান ওয়েভের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। ওটা একটা সংগঠিত কার্যকলাপ। বলছেন ডা. রবীন্দ্র জৈন। তাঁর মতে, হাই তুলছে আর হাসছে, তাহলে দু ধরনের মিররিং হয়। একটা ফিজিক্য়াল আর একটা মেন্টাল। ইমোশন্য়াল রেসপন্স শুধু নয় ফিজিক্য়াল রেসপন্স। অভিনয় করে হাই তুললেও আপনি ভাবছেন ঘুমিয়ে পড়ছেন।

বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, ’’আমরা সবসময় দলগত ভাবে চিন্তা ভাবনা করে কাজ করি। আগে একটা বিষয় ছিল পরের দিন শিকার করতে যেতে হবে। তাহলে সন্ধ্য়ে বেলায় একসঙ্গে ঘুমাতে হবে। ভোরবলোয় একসঙ্গে উঠতে হবে। একসঙ্গে খেতে হবে। টাইমিং এরকমই রাখতে হবে। আমরা এসব যে বুঝে করি এমন নয়, আনকনসাসলি করে ফেলি। দেখে হাই ওঠা এরকমই একটা বিষয়। যুগ যুগ ধরে আমাদের অভ্য়াসের মধ্য়ে এটাও একটি। এটা একসঙ্গে ঘুমানোর সিগন্য়াল।’’

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই দেখাদেখি হাইয়ের জন্য় দায়ী মিরর নিউরোন। যা রয়েছে মানুষের মধ্যে। শিম্পাঞ্জীদের মধ্যেও আছে। বায়োলজিক্যালি সিগনিফিকেন্ট। সব কিছুই যেন একটা কপি হয়ে যায়।

উত্তর ভালো লেগে থাকলে আপভোট দিয়ে উৎসাহ দেওয়ার অনুরোধ রইলো।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 662 বার দেখা হয়েছে
+23 টি ভোট
1 উত্তর 296 বার দেখা হয়েছে

10,857 টি প্রশ্ন

18,557 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

858,811 জন সদস্য

38 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 38 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tanvir Zaman

    220 পয়েন্ট

  2. science_bee_group

    120 পয়েন্ট

  3. Muhammad Al-Amin

    110 পয়েন্ট

  4. 888newbrcom

    100 পয়েন্ট

  5. miso88beauty

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন দাঁত ভাইরাস আকাশ গতি কান্না বিড়াল আম
...