ভারী পানি বা হেভি ওয়াটার মূলতঃ হাইড্রোজেন এর জায়গায় ডিউটেরিয়াম এর প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় । যার ফলে এর সংকেত H2O না, বরং D2O লিখা হয় । হাইড্রোজেন গ্যাসের পরমাণুতে থাকে একটি প্রোটন এবং কোন নিউট্রন থাকে না । কিন্তু ডিউটেরিয়াম এর পরমাণুতে একটি প্রোটন এবং একটি নিউট্রন থাকে । এজন্য ভারী পানির বৈশিষ্ট্য সাধারণ পানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । ভারী পানি কিছুটা মিষ্টি স্বাদের বলা হয় এবং ভারী পানি দিয়ে তৈরী বরফ পানিতে ভাসে যেখানে সাধারণ পানি দিয়ে তৈরী বরফ পানিতে ডুবে যায় ।
ভারী পানি পান করা যাবে কি না?
উত্তরঃ ভারী পানি তেজস্ক্রিয় নয় । সমস্যা হলো এর ভর সাধারণ পানি থেকে কিছুটা বেশি । আপনি যদি চান তাহলে আপনি ভারী পানি পান করতে পারেন এবং এতি সম্পূর্ণ নিরাপদ । আপনি যদি এক গ্লাস ভারী পানি পান করেন আপনি কোনো সমস্যা অনুভব করবেন না । যদি কয়েক গ্লাস ভারী পানি পান করেন তাহলে আপনি একটু মাথা-ঘোরা অনুভব করবেন কারন ভারী পানি আপনার অন্তঃকর্ণের ফ্লুইডের ঘনত্ব বাড়িয়ে দিতে পারে ।
ভারী পানি কখন মৃত্যুর কারণ?
উত্তরঃ ভারী পানিতে ব্যাকটেরিয়া বসবাস করতে পারে । আপনি যদি একদিন ভারী পানি পান করেন এবং পরবর্তীতে সাধারণ পানি পান করেন তাহলে আপনি কোনো সমস্যা অনুভব করবেন না ।কিন্তু যদি আপনি প্রতিদিন ভারী পানি পান করেন তাহলে আপনি কিছুটা অসুস্থতা অনুভব করবেন । দেহে ২০% পানি যদি ভারী পানি দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয় তাহলে মানুষ এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী বেচে থাকতে পারে । দেহে ২৫% পানি প্রতিস্থাপিত হলে স্টেরিলাইজেশন ঘটাতে পারে । দেহে ৫০% প্রতিস্থাপিত হলে প্রাণঘাতী হতে পারে । ভারী জলের বিষক্রিয়া কেমোথেরাপি থেকে বিকিরণ বিষ বা সাইটোটক্সিক বিষক্রিয়ার অনুরূপ।
©Zhang Bao Hua