জীবঃ যাদের জীবন আছে তাদেরকে জীব বলে।
জড়ঃ যাদের জীবন নেই তাদেরকে জড় বলে।
#.জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্যঃ
জীব:
১.জীবের প্রাণ আছে।
২.জীব খাদ্য গ্রহণ করে।
৩.জীব বাঁচার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়।
৪.জীবের শারীরিক বৃদ্ধি ও পরিবর্তন ঘটে।
৫.জীব নিজের মতো নতুন জীবের জন্ম দেয়।
৬.জীব চলাফেরা করতে পারে।
৭.জীবদেহ প্রােটোপ্লাজম (নিউক্লিয়াস, প্লাজমা পর্দা, সেন্ট্রোজোম, রাইবোজোম ইত্যাদি) সমন্বিত এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত।
জড়ঃ
১.জড়ের প্রাণ নেই।
২.কোনো প্রকার খাদ্য গ্রহণ করে না।
৩.বাঁচার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস দরকার হয় না।
৪.জড়ের শারীরিক বৃদ্ধি ও পরিবর্তন হয় না।
৫.জড় নিজের মতো নতুন জীবের জন্ম দিতে পারে না।
৬.এরা চলাফেরা করতে পারে না।
৭.জড়বস্তু কোষ দ্বারা গঠিত নয় এবং এদের দেহে প্রোটোপ্লাজমেরও অস্তিত্ব নেই।
মোটামুটি বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এটাই হলো জীব ও জড় এর মূল কথা বা মূলনীতি।
কিন্তু আপনার কথা অনুযায়ী অর্থাৎ জীবন আছে কি নেই সেই ভিত্তিতে দেখলে, আমি বলব, জড় বলতে কিছুই নেই। কারণ যদি জড় বলতে কিছু থাকতো তাহলে গোসলের সময় মুসা (আ.) এর কাপড় নিয়ে পাথরটি দৌড়ালো কিভাবে? কুরআনের একটি আয়াত নাজিল হওয়ার কারণে কাবার সকল মূর্তি সিজদায় পড়ে গেল কিভাবে?
এই বিশ্বে এমন অনেক কিছুই আছে যা বিজ্ঞান এখনো জানে না। বিশ্বে যা কিছু আছে, সকল কিছু Vibrate করে। আমরা মানুষেরা 20-20000 Hz এর মধ্যে শব্দ শুনতে পাই। আমরা মানুষেরা মনে করতাম গাছের প্রাণ নেই কিন্তু এখন জানি প্রাণ আছে। আমরা গাছের আওয়াজ শুনতে পাই না। কিন্তু নবুয়তের শুরুর দিকে হযরত মুহাম্মদ (স.) গাছ এবং বিভিন্ন জড় বস্তুর আওয়াজ শুনেছেন যা তিনি আগে কখনো শুনেননি। এমনকি তার মুজিযার জন্য পাথররা যে আল্লাহর জিকির করছিল তা কাফেররা শুনতে পায়। এমনকি তিনি বলেছিলেন গাছেরা খুব সুন্দর গান করে। আমরা শুনতে পাই না কারণ তা আমাদের শ্রবণসীমার বাইরে। তাহলে বুঝলেন আমরা কতটা বধির। এখন বিজ্ঞানীরা AI ব্যবহার করে এমন এক আওয়াজ শুনতে পেয়েছে যা তারা 'গাছের কান্না' বলে আখ্যায়িত করেছে ।
আমরা মনে করি পশুপাখিদের কোনো ভাষা নেই কিন্তু আমি বলবো তাদেরও নিজস্ব ভাষা আছে। যদি তা না হতো তাহলে হযরত সুলায়মান (আ.) কিভাবে পশুপাখিদের ভাষা বুঝতেন এবং কথা বলতেন?
আমরা মানুষেরা অনেক কিছু দেখতে পারি না কারণ আমাদের দৃশ্যমান আলো 380-780 nm যা এখন পর্যন্ত পাওয়া electromagnetic spectrum এর 0.0035%। তাহলে বুঝলেন আমরা কতোটা অন্ধ। যেখানে আমরা আমাদের আশেপাশের জিন ও ফেরেশতাদের দেখতে পাই না সেখানে আমরা আল্লাহকে দেখার চেষ্টা করছি। যদি আমরা সকল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে দেখতে পেতাম তাহলে আমরাও প্রত্যেকটি বস্তুর আসল আকার দেখতে পেতাম। যেমন: জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ইনফ্রারেড আলো ব্যবহার করে এমন সব কিছু দেখতে পেলাম যা আগে কখনো দেখেনি। অজানাকে জানা আরো সহজ হতো কিন্তু অনেক কিছু দেখে ভয়ও পেতাম।
নাসা জানতে পেরেছে সূর্য প্রতি ১৫ সেকেন্ডে মানুষের Heartbeat এর মতো একটি সিগনাল পাঠায়।
মূলকথা এই যে, মানুষ যতই জ্ঞান অর্জন করেছে, আল্লাহ তায়ালার কথা ততই সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।