জ্বী সম্ভব।
থিওরি অব রিলেটিভিটি থেকে এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। কোনো বস্তুর গতি যতো বাড়বে তার তুলনায় সময় ততো ধীরে যাবে, এটিই সময়ের আপেক্ষিকতা। একজন পৃথিবীতে স্বাভাবিক অবস্থায় আছে, অন্য আরেকজন উচ্চ গতিসম্পন্ন কোনো স্পেসশিপে ভ্রমণ করছে। পৃথিবীতে থাকা ব্যক্তির তুলনায় স্পেসশিপের ব্যক্তির সময় ধীরে যাবে।
আবার গ্র্যাভিটি দিয়েও সময়ের উপর প্রভাব ফেলা সম্ভব। গ্র্যাভিটি হলো ভরযুক্ত বস্তু দিয়ে সৃষ্ট স্পেসের বক্রতা। নিচের ছবিটি লক্ষ করুন, স্পেসের মধ্যে কোনো ভরযুক্ত বস্তু থাকলে সেটি স্পেসকে এভাবে বাঁকিয়ে দেয়।
সোজা একটা রাস্তা দিয়ে কোনোকিছু অতিক্রম করতে পথ অতিক্রম করতে হয়, মাঝে এরকম বক্রতা থাকলে অবশ্যই বেশি পথ অতিক্রম করতে হবে। বেশি পথ অতিক্রম করতে হলে সময় বেশি লাগা উচিত? কিন্ত একটা সমস্যা হলো, আলোর বেগ সবসময় ধ্রুব। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সোজা রাস্তায় যেতে যতো সময় লাগবে, একই দূরত্ব মাঝে বক্রতা থাকলে বেশি সময় লাগবে। একই দূরত্ব অথচ আলাদা সময়ে অতিক্রম করলে আলোর বেগ আর ধ্রুব থাকলো না, যেটি পদার্থবিদ্যার নীতি অনুযায়ী সম্ভব না। তাই যেটি হয় সেটি হলো এই বক্র স্থানে সময় ধীর হয়ে যায়। অর্থাৎ, সোজা পথে যতোটুকু সময় লাগে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যেতে, এখানেও একই সময় লাগে কিন্তু বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে। তাই গ্র্যাভিটি যতো বেশি হবে,বক্রতা ততো বাড়বে এবং সময় ততো ধীরে যাবে। বিভিন্ন মুভিতে দেখবেন ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি সময় অত্যন্ত ধীরে যায়। গ্র্যাভিটিই এর কারণ।