শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মোমিটার শুধুমাত্র বগলে অথবা জিহ্বার নিচেই কেন রাখা হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+16 টি ভোট
1,808 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (71,130 পয়েন্ট)
বিভাগ পূনঃনির্ধারিত করেছেন

2 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (71,130 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
আমাদের দেহে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। আমাদের দেহের এই স্বাভাবিক তাপমাত্রার সীমা বেশ বড়। জ্বরে আক্রান্ত মানুষের দেহের বিভিন্ন স্থানে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত নির্দিষ্ট তাপমাত্রা সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেলে জ্বরবলে গন্য করা হয়।

নির্দিষ্ট স্থানে তাপমাত্রার সূচক গুলো হলোঃ

১)মুখের তাপমাত্রা ৩৭.৭0 সে. বা তার বেশি হলে জ্বর বলে গন্য করা হয়।

২)বাহু বা কানের তাপমাত্রা ৩৭.২0 সে. বা তার বেশি হলে জ্বর বলে গন্য করা হয়।

২) পায়ুপথের তাপমাত্রা ৩৭.৫-৩৮.৩0 সে. বা তার বেশি হলে জ্বর বলে গন্য করা হয়।
 

এজন্যই মুখে এবং বগলের নিচে থার্মোমিটার রাখা হয় জ্বর মাপার জন্য।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে আমরা ‘জ্বর’ বলি। কখনোই জ্বর হয়নি—এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে জ্বর নিজে কোনো রোগ নয়, এটি রোগের উপসর্গ। শঙ্কার কথা হলো, জ্বরের কারণ সময়মতো উদ্ধার করে চিকিৎসা না নিলে, তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।

 

তাই তো মানুষের চেষ্টা ছিল শরীরের তাপমাত্রার নজরদারি করা। সাধারণত হাতের বাইরের পার্শ্ব দিয়ে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির গায়ে হাত দিলেই আন্দাজ করা যায় শরীরের তাপমাত্রা। যদি বেশি বা কম হয়, তা কত বেশি বা কম, তা নির্ধারণের আকাঙ্ক্ষা থেকেই পরিমাপকযন্ত্র থার্মোমিটারের ব্যবহার শুরু হয়।

 

হরেক রকম থার্মোমিটার আছে নানাবিধ ব্যবহারের জন্যে। মানুষের শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্যে যে থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়, সেটা ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার। ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটারও এখন অনেক ধরনের। এর মধ্যে পারদ থার্মোমিটার পুরোনো ও জনপ্রিয়। এটি সহজেই পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা। এখন পারদভিত্তিক কিছু ডিজিটাল থার্মোমিটারও পাওয়া যায়। যা দিয়ে সহজেই শরীরের তাপমাত্রা মাপা যায়।

 

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে আরও একধরনের থার্মোমিটার জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তা হলো ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। যা দিয়ে শরীর স্পর্শ না করেই শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা সম্ভব। তবে এ ধরনের থার্মোমিটার সহজলভ্য নয়।

 

সাধারণভাবে বললে শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে জ্বর বলা হয়। মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা মুখের তাপমাত্রাকে বোঝায়। এর বেশি হলেই আমরা জ্বরে আক্রান্ত বলে থাকি। সকালবেলা সাধারণত একটু তাপমাত্রা বেশি থাকে এবং কাজ করলে বা বিকেল বেলা তাপমাত্রা একটু বাড়তি থাকতে পারে। পায়ুপথের তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে। যাকে আমরা শরীরের আসল তাপমাত্রা ধরে থাকি।

 

তাপের মাত্রা পরিমাপ

 

সাধারণত মুখ ও বগলে তাপমাত্রা মাপা হয়। এছাডা পায়ুপথে, কানেও তাপমাত্রা মাপা যায়। মুখে ও বগলে তাপমাত্রা পরিবেশ–পরিস্থিতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা দিতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ঠান্ডা বা গরম কিছু খেলে মুখের তাপমাত্রা ভিন্ন আসতে পারে।

 

থার্মোমিটারের ব্যবহার

 

* প্রথমে স্পিরিট বা সাবানপানি দিয়ে থার্মোমিটারটি ধুয়ে শুকনো পরিষ্কার কাপড়ে মুছে নিন। সাধারণ থার্মোমিটারের ক্ষেত্রে পারদের অবস্থান দেখতে হবে। জ্বর মাপার আগে থার্মোমিটারের শেষ প্রান্ত ধরে জোরে ঝাঁকিয়ে পারদ নিচে নামিয়ে আনতে হবে। কাজটি সাবধানে করতে হবে, তা না–হলে কোনো কিছুর সঙ্গে লেগে কাচের থার্মোমিটার ভেঙে যেতে পারে। আর ডিজিটাল থার্মোমিটার হলে জ্বর মাপার আগে সুইচ চেপে চালু করে নিতে হবে।

 

* আমরা সাধারণত থার্মোমিটার এক মিনিট জিহ্বা বা বগলের নিচে রেখে তাপমাত্রা নির্ণয় করি। ডিজিটাল থার্মোমিটারে শব্দ করলে বুঝতে হবে যে তাপমাত্রা মাপা শেষ। আর ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সাধারণত কপালের সামনে ধরলেই তাপমাত্রা নির্দেশ করে। তবে এ ক্ষেত্রে তাপমাত্রা একটু কম–বেশি দেখাতে পারে।

 

* বড়দের ক্ষেত্রে জিহ্বার নিচে থার্মোমিটার দিয়ে ঠোঁট দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হয়।

 

* ব্যবহারের আগে–পরে অবশ্যই থার্মোমিটার পরিষ্কার রাখুন। ব্যবহারের পর পরিষ্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে থার্মোমিটার রেখে দিন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+9 টি ভোট
1 উত্তর 441 বার দেখা হয়েছে
+14 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,379 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 9,781 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

271,606 জন সদস্য

66 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 65 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  4. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  5. Terese486692

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...