এটাকে অ্যাক্রোফোবিয়া বলে।
অ্যাক্রোফোবিয়া হল উচ্চতার কারণে হওয়া ভয়। এর কারণে অ্যানজানটি দেখা দেয় এবং শুরু হয়ে যায় প্যানিক অ্যাটাক। একাধিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, অ্যাক্রোফোবিয়া হল সবচেয়ে সাধারণ ফোবিয়াগুলির মধ্যে একটি।
অ্যাক্রোফোবিয়া হল উচ্চতার কারণে হওয়া ভয়। এর কারণে অ্যানজানটি দেখা দেয় এবং শুরু হয়ে যায় প্যানিক অ্যাটাক। একাধিক গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, অ্যাক্রোফোবিয়া হল সবচেয়ে সাধারণ ফোবিয়াগুলির মধ্যে একটি। অ্যাক্রোফোবিয়া শব্দটি গ্রিক থেকে এসেছে। গ্রিক শব্দ অ্যাক্রোন যার অর্থ উচ্চতা এবং ফোবোস যার অর্থ হল ভয়।
বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভয় এবং ভীতি হল জন্মগত। আর এই অ্যাক্রোফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচ্চতার সঙ্গে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ যোগ না থাকলেও তাঁদের উচ্চতা থেকে ভয় লাগে। এই কারণেই মনোবিজ্ঞানীরা উচ্চতা বা এই ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন।
অ্যাক্রোফোবিয়ায় আক্রান্তের লক্ষণ-
অ্যাক্রোফোবিয়ায় সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল প্যানিক অ্যাটাক এবং অ্যানজাইটি। কিছু কিছু মানুষের সামান্য উচ্চতাতেই ভয় লাগে। আবার এমনও কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁদের কম উচ্চতায় কোনও সমস্যা না হলেও, উচ্চতা বাড়তে শুরু করলে তাঁদের মধ্যে এই লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়। অন্যদের ক্ষেত্রে সামান্য উচ্চতায় এই অ্যাক্রোফোবিয়া দেখা দেয়। অ্যাক্রোফোবিয়ায় অন্যান্য উপসর্গগুলি হল-
-অত্যাধিক পরিমাণে ঘাম হওয়া
– হার্ট বিট বেড়ে যাওয়া
– ওই উঁচু জায়গা সম্পর্কে বেশি চিন্তাভাবনা করা
-বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ লাগা
-শরীর খারাপ লাগা ও শরীর হালকা লাগা
-মাথা ঘোরা
-বমি বমি ভাব হওয়া
-উঁচু কোথাও আটকা পড়ার চরম ভয়ের অনুভূতি
অ্যাক্রোফোবিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া উপায়-
এই অ্যাক্রোফোবিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখার একাধিক উপায় রয়েছে। আপনি যদি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেন, তাহলে তিনি আপনাকে কিছু মেডিটেশন এবং ওষুধের পরামর্শ দিতে পারেন। এছাড়াও আপনি অ্যাক্রোফোবিয়ার সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিকে বেছে নিন।
আপনি রিল্যাক্স হওয়ার জন্য যে কোনও বিকল্পকে বেছে নিতে পারেন। যে রিল্যাক্সেশন টেকনিকে আপনি সুবধা বোধ করবেন সেটাই করুন। প্যানিক অ্যাটাক হওয়ার সময় আপনি আপনার সেই রিল্যাক্সেশন টেকনিককে ব্যবহার করবেন। প্যানিক অ্যাটাকের সময় বা উঁচু কোনও জায়গায় ওঠার সময় কিংবা প্যানিক অ্যাটাকের উপসর্গগুলো দেখা দেওয়ার সময় আপনি আরেকটি জিনিসের সাহায্য নিতে পারেন, তা হল ক্যাফেইন। যে সব খাবারে ক্যাফেইন রয়েছে বা কফি পান করতে পারেন। এতে ভয়ের প্রতি আসক্তি কমে যেতে পারে।
-সংগ্রহীত