ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে ঘোরে কেন? বামদিকে ঘরে না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
1,305 বার দেখা হয়েছে
"আইকিউ" বিভাগে করেছেন (630 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (2,160 পয়েন্ট)
মানব সভ্যতায় ঘড়ি একটি যুগান্তকারি আবিস্কার। পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় ঘড়ির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু আজ আমরা যে ঘড়ি ব্যবহার করছি তার ইতিহাস অনেক পুরনো । পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ঘড়ি, মানে সবচেয়ে পুরোনো সূর্যঘড়ির মর্যাদা পায় মিশরীয়দের ওবেলিস্ক।

ধারণা করা হয়, মিশরীয়রা এই ঘড়ি বানানো শিখেছিল খ্রিস্টের জন্মেরও সাড়ে ৩ হাজার বছর আগে। এরকম আরেকটা ঘড়িকে বলা হয় ‘শ্যাডো ক্লক’। ‘শ্যাডো ক্লক’ টা বানিয়েছিল ব্যবিলনীয়রা, খ্রিস্টের জন্মের প্রায় দেড় হাজার বছর আগে।

এই সূর্যঘড়িগুলোতে সময় দেখা হতো সূর্যের ছায়া দেখে। অর্থাৎ সময় নির্দেশক যে কাঁটা বা দণ্ড, সেটা স্থির থাকতো আর সূর্যের ছায়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সরে যেতো। আর আমাদের ঘড়িতে আবার উল্টো; এই কাঁটাগুলোই ঘুরে ঘুরে সময় জানান দেয়। ছায়া দেখার কোনো বালাই-ই নেই। এরকম ঘড়ি, মানে যে ঘড়িতে কাঁটা ঘুরে ঘুরে সময় জানান দেয়, সেরকম ঘড়ি প্রথম বানানো হয় ১৩ শতকে। তবে তখনই এই ঘড়িগুলো তেমন জনপ্রিয় হয়নি। হবে কী করে বলো, তখনো যে মানুষের সময় দেখার তেমন প্রয়োজনই হয়নি। সূর্য দেখেই মানুষ বুঝতো- এখন সকাল না দুপুর, বিকাল না সন্ধ্যা। তখন এরচেয়ে বেশি সময় দেখার তেমন দরকার হতো না।

এর মোটামুটি ৪০০ বছর পরে, ১৮ শতকে যখন কল-কারখানা বসতে শুরু করলো, তখন মানুষের সময় দেখার দরকার হতে শুরু করলো। নির্দিষ্ট সময়ে কারখানায় যেতে হবে, নির্দিষ্ট সময় দুপুরের খাবার খেয়ে আবার কাজে লাগতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ে ছুটি হবে। তা না হলে যে কারখানাই চলবে না! কারখানায় যদি একজন সকাল সাতটায়, একজন সকাল আটটায়, আরেকজন সকাল নয়টায় আসে, মানে যেমন ইচ্ছে তেমন আসতে থাকে, তাহলে কী করে হবে বলো? তখন সবার ওই কাঁটাওয়ালা ঘড়ির দরকার পড়লো; যেন সবাই সময় মতো সব কাজ করতে পারে। এবার কিন্তু ঘড়ি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠলো।

এবার একটা হিসেব মেলানো যাক। যে অঞ্চলে পুরোনো ঘড়িগুলো তৈরি হয়েছিল, মিশর আর ব্যবিলন- এগুলো কিন্তু একই অঞ্চলে। আর এই অঞ্চলের অবস্থানের কারণে সূর্যঘড়ির ছায়া দিনের সাথে ক্রমাগত পশ্চিম থেকে উত্তর হয়ে পূর্বদিকে সরে যেত। অর্থাৎ, দিন যতো গড়িয়ে রাতের দিকে যেত, ছায়াও ততো পশ্চিম দিক থেকে উত্তর দিক হয়ে পূর্ব দিকে যেত। সেখান থেকেই ঘড়ির কাঁটার দিকের ব্যাপারটা এসেছে। সেই অনুযায়ী-ই ঘড়ির কাঁটা পশ্চিম থেকে উত্তর ছুঁয়ে পূর্ব দিকে যায়।

ভাবছেন, পশ্চিম-উত্তর-পূর্বের সাথে আবার বাম- ডানের কী সম্পর্ক? আচ্ছা, তাহলে একটা মানচিত্র নিয়ে বসেন। দেখেন তো, মানচিত্রের উপরের দিকে দিক নির্দেশক একটা চিহ্ন আছে কিনা? পেয়েছেন? এবার দেখুন তো, উপরের দিকের চিহ্নের পাশে কোন দিকের কথা লেখা? আর কিছু লেখা না থাকলেও ইংরেজি বর্ণের ‘এন’ লেখা আছে, তাই না? এই ‘এন’র হলো নর্থ বুঝাতে লেখা হয়। বাংলায় যাকে বলে উত্তর ।

 

আর মানচিত্রের নিচের দিকটা হল দক্ষিণ। এবার দেখো তো, বাম দিকে আর ডান দিকে কী পরে? হ্যাঁ, বাম দিকে পশ্চিম, আর ডান দিকে পূর্ব। এবার বুঝলেন তো, ঘড়ির কাঁটা কেন বাম থেকে সবসময় ডান দিকে যাচ্ছে?
0 টি ভোট
করেছেন (5,390 পয়েন্ট)
সবকিছুই নিজ নিজ শৃঙ্খলে আবদ্ধ।সবকিছুই নিয়ম মেনে চলে।নিয়ম ভঙ্গ করলে সবকিছুই উল্টাপল্টা হয়।ঘড়ির নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই চলে।ডানদিক দিয়ে সময়ের গরমিল হয় ও সময় বুঝতেও ভুল হয়।তাই ঘড়ির কাঁটা ডান দিকে যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
1 উত্তর 2,374 বার দেখা হয়েছে
17 জানুয়ারি 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Abu Reza (10,660 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 4,873 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 1,955 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 409 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 439 বার দেখা হয়েছে

10,853 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

855,885 জন সদস্য

69 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 69 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Jakiasultana53

    120 পয়েন্ট

  2. gga6789com

    100 পয়েন্ট

  3. Zx88cvcom

    100 পয়েন্ট

  4. Oppa888app

    100 পয়েন্ট

  5. Vnq8day

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...