দহনের সময় গ্যাসের অণু ভেঙে যায়। এই অণুগুলো যখন ভাঙ্গে তখন তাপ শক্তি বিকিরণ বা শোষণ হয়। তাপশক্তি সীমিত পরিসরে এক ধরণের গতি শক্তি। রিচার্ড ফাইনম্যানের মতে,তাপ হচ্ছে পরমাণুর ঝাঁকি তো এই ঝাকাঝাকির ফলে তৈরি হয় তড়িৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ অর্থাৎ আলো। যা আমাদের চোখে প্রতিফলিত হয় আর আমরা আগুন দেখতে পাই।
আলো সরল রেখায় চলে। এই চলার পথে সামনে কোনো বস্তুতে বাধা পেলে বস্তুটির আলোর বিপরীত দিকে একটি অন্ধকার আবহ তৈরি হয়, যাকে আমরা ছায়া বলি।
বস্তুর ঘনত্বের উপর নির্ভর করে আলো তার চলার পথে বাধা অনুভব করে। বলা যায়,বস্তুর ঘনত্ব যত বেশি হবে আলো তত বেশি বাধা অনুভব করবে বিপরীতে বস্তুর ঘনত্ব যত কমবে আলো তত বাধা কম অনুভব করবে।
আগুনে উপস্থিত পদার্থের অণুগুলো তাপের কারণে ছূটাছুটি শুরু করে। ফলে একটা অণু থেকে আরেকটা অণুর দুরত্ব বাড়ে। যার ফলে উপস্থিত পদার্থের ঘনত্ব কমে যায় অর্থাৎ আগুনের ঘনত্ব কমে যায়।
আগুনের ঘনত্ব এতই কমে যায় যে আলো তার সরল রেখায় চলার পথে আর কোনো বাধা অনুভব করে না। যার কারণে আমরা আগুনের কোনো ছায়া দেখতে পাই না।