Warman Hasbi -
খুব নিচু দিয়ে প্লেন গেলে ছায়া দেখা যায়, যেমন বিমানবন্দরের পাশে থাকলে প্রায় ই প্লেনের ছায়কে দেখা যায় যদি তা মাটির কাছ দিয়ে যায়।
কোন অবজেক্ট যত দূরে যায় সেটা তত ছোট দেখায়, কোন বস্তুর পেছনে একটি আলোক উৎস রেখে এর সামনে একটি সার্ফেস রাখলে সেখানে বস্তুটির ছায়া পরবে, যেমন পেছনে টর্চ লাইট রেখে হাত ধরলে দেয়ালে হাতের ছায়া পরবে, এখানে হাত দেয়াল হতে যত দূরে যাবে ছায়া তত বড় হতে থাকবে সাথে সাথে ছায়া ততই হালকা হতে থাকবে, এর কারণ আমাদের বায়ুমন্ডল।
আলো বায়ুকণায় প্রতিফলিত হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে থাকে তাই হাত দিয়ে টর্চ থেকে আসা আলো আটকিয়ে দিলেও হাত এবং দেয়ালের মধ্যের জায়গার বাতসে কিছু আলো কণা থাকে যার ফলে ছায়ার অংশটি একদম সম্পুর্ন আলোহীন হয়না, তাই কোন কিছুর ছায়াতে দাড়ালেও অন্যরা আপনাকে দেখতে পায়, কিন্তু চাঁদে কিছুর ছায়াতে দাঁড়ালে পাশ থেকেও কেউ দেখতে পাবেনা, কারণ চাঁদের বায়ুমন্ডল না থাকায় বায়ুতে আলো কণাও থাকা সম্ভব না তাই সেখানে ছায়া হয় সম্পুর্ন আলোহীন।
যদি হাত অল্প দূরত্বে থাকে তাহলে হাত এবং দেয়ালের মাঝের অংশে বাতাস কম থাকে, যত বেশি দূরে যাবে হাত এবং দেয়ালের মধ্যের জায়গা বাড়বে এবং বাতাসের পরিমাণ ও, এবং এই দুই এর মধ্যবর্তী অংশে বাতাসে থাকা আলোক কণাও তখন বেশি হবে যার ফলে ছায়া আরো হালকা দেখাবে।
যাত্রীবাহী বিমান গুলো কয়েক হাজার ফিট উপর দিয়ে চলাচল করে, এবার ভাবুন বিমান আর মাটির মাঝে কতটুকু জায়গা আর এতবড় এরিয়ার বায়ুমন্ডল এর ফলে ছায়া ভূমি পর্যন্ত আসলেও তা দেখার মত থাকবেনা কারণ অনেক বেশি হালকা হয়ে যায়, তাছাড়া বিমান এত দূরে থাকায় ছায়া আসলেও তা এতটা বড় হবে যে আমরা মাটিতে দাঁড়িয়ে বুঝতে পারব না, তবে মেঘের উপর দিয়ে যাবার সময় দেখবেন বিমানের ছায়া মেঘে দেখা যাচ্ছে কারণ মেঘ থেকে অল্প উপরেই থাকে।
মূলত দূরত্ব বেশি হওয়ায় ছায়া অনেক হালকা হয়ে যায় যা দেখার মত না, কাছে থাকলে ঠিক ই দেখা যায়। রকেটের ক্ষেত্রেও তাই।