শহুরে পরিবেশ দূষণের মূল কারণ হলো এর বায়ু দুষিত হওয়া। বায়ু দুষিত হওয়ার কার্যকারণ হলো বাতাসে অক্সিজেন ব্যতীত অন্যান্য গ্যাস ও ধূলিকণার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। পাশাপাশি পয়োনিষ্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নদী-জলাশয়ের সাথে সংযুক্ত থাকার কারণে শহরের যত কলকারখানার বর্জ্র, ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র ইত্যাদি পানিতে মিশে সেই পানিকে দুষিত করে বিধায় তার প্রভাব সংযুক্ত শহরেও পড়ে। নারায়ণগঞ্জ শহরও তার ব্যতিক্রম নয়, পাশেই প্রবাহমান শীতলক্ষ্যা নদী। যা ইতোমধ্যেই দুষণযুক্ত নদীতে পরিণত হয়ে গেছে, আগের মতো আর স্বচ্ছ-সলিল-জলধারা নেই। তাহলে এ মতাস্থায় নারায়ণগঞ্জ শহরের পরিবেশকে দুষণমুক্ত করতে করণীয় কি? এটাই মূল প্রশ্ন। এহেন সার্বিক অবস্থায় পরিবেশবাদীগণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন-
১.এয়ারকন্ডিশন ব্যবহারের পরিবর্তে ফ্যান ব্যবহার করুন,
২. চিমনীর জন্য ফিল্ডার ব্যবহার করুন,
৩. শব্দদুষণ প্রতিরোধে পটকা-বাজি ফোটানো বন্ধ করুন,
৪. কীটনাশক ও প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিহার করুন,
৫. কারখানায় ও কৃষিজমির বর্জ্যজল পরিশোধক ব্যবস্থা চালু করুন,
৬. গাড়ির জ্বালানীতে অবাঞ্চিত নির্গমন রোধক ও নিয়ন্ত্রণ পরিকল্‌পনা গ্রহণ করুন ইত্যাদি ইত্যাদি।