মানুষ রেগে কথা বলার সময় কন্ঠস্বরে পাল্টে যায় কেনো? [poll] - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
467 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (590 পয়েন্ট)
### no choices found for poll!

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (300 পয়েন্ট)
আমরা সবাই কম বেশি মায়ের কাছে, বাবার কাছে, অফিসে বসের কাছে ঝাড়ি খেয়ে থাকি। আবার নিজেরাও অনেক সময় নানা কারণে অন্যকে রাগ দেখিয়ে থাকি। তবে রাগের সময় কন্ঠের পরিবর্তন হয় না বা কথা বলার ভঙ্গিতে পরিবর্তন দেখা যায় না এমন মানুষ পাওয়া ভাড়। কিন্তু কারো মনে কী প্রশ্ন জেগেছে যে কেন এমনটা হয়ে থাকে? চলুন কারণটা জেনে নেওয়া যাক।

 

আমাদের কন্ঠনালির মধ্যে অবস্থিত স্বর‍যন্ত্র (যাতে vocal cord অবস্থিত) এবং গলবিলের মাঝে এক ধরনের জটিল স্নায়ু সরবারহের সংযোগ রয়েছে। এই জটিল স্নায়ুতে সাধারণত আলাদা আলাদা দুই ধরনের স্নায়ুতন্ত্রের তথ্য প্রেরিত হয়ে থাকে এবং সে অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন হয়। যথাঃ

1. Central Nervous System(CNS): আমাদের ঐচ্ছিক বিভিন্ন কাজ যেমন, কথা বলা বা গান গাওয়ার মতো কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করে।

2. Autonomic Nervous System(ANS): আমাদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহের কার্যাবলি যেমন, রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দনের হার, গলাধঃকরণ, পরিপাক ও শোষণ ইত্যাদি কার্যাদি সম্পন্ন করে।

 

Autonomic Nervous System আবার তিনটি অংশে বিভক্ত।

 

1. Parasympathetic Nervous System: বিশ্রাম ও পরিপাকের সাথে জড়িত। এছাড়া হৃৎস্পন্দনের হার কমানো, রক্তচাপ কমানো, বিশ্রামরত অবস্থায় পরিপাকক্রিয়া দ্রুত সংঘটিত করা এবং লালারস, পরিপাক জুসের নিঃসরণ ঘটানো এর কাজ।

 

2.Sympathetic Nervous System: এই স্নায়ুতন্ত্র দেহের 'Fight or flight' response এর জন্য দায়ী অর্থাৎ, ব্যক্তিকে আকস্মিক কোনো দূর্ঘটনা থেকে বাচঁতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করে। এছাড়া হৃৎস্পন্দনের ও রক্তচাপের হার বৃদ্ধি, পরিপাকক্রিয়া হ্রাস এবং লালারস, মিউকাসের পরিমাণ হ্রাস করে।

 

3. Enteric Nervous System: ক্ষুদ্রান্ত্র, অগ্ন্যাশয় এবং যকৃতের কাজে সহায়তা করে।

 

ANS নিয়ে এত কথা বলার মূল কারণ একটাই আর তা হল মূলত ANS আমাদের মস্তিষ্কের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রের সাথে বিশেষভাবে জড়িত যার ফলে আমরা কোনো ব্যক্তির চেহারা বা শারীরিক অঙ্গভঙ্গিমার মাধ্যমে বুঝতে পারি যে ব্যক্তি রাগ বা মানসিক কষ্টে আছে কি না। তবে এ বিষয়টি বুঝতে বিশেষভাবে সহায়তা করে কন্ঠস্বর।

 

যখন কোনো বিশেষ কারণে আমরা রাগান্বিত বোধ করে থাকি, তখন আমাদের দেহে বেশি Adrenalin নিঃসৃত হয়, যা বুকে হালকা অস্বস্তিবোধ এবং হাতের তালু ঘামানোর মূল কারণ। এছাড়া এসময় মুখে লালা নিঃসরণ কমে আসে, ফলে রাগে কথা বলার সময় বেশি জোর দিয়ে কথা বলতে হয়। এছাড়াও আরো বেশ কিছু শারীরিক পরিবর্তন আসে তা হলো,

>>> মাংসপেশির টান বৃদ্ধি (Adrenaline এর কারণে)

>>> হৃৎস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বৃদ্ধি

>>> দেহের তাপমাত্রার পরিবর্তন (সাথে ঘাম এবং কাঁপুনি)

>>> শুষ্ক মুখ এবং গলা

এসকল শারীরিক পরিবর্তন কন্ঠের উপর প্রভাব ফেলে, ফলে আমরা যে মানুষটার স্বাভাবিক কন্ঠ

শুনে অভ্যস্ত, সেই মানুষটাই যখন রাগে কথা বলে তখন আমাদের কাছে তা ভিন্ন এবং গম্ভীর মনে হয়।

 

শুধু যে শারীরিক পরিবর্তন আসে তা নয় বরং, ব্যক্তির বাচনভঙ্গিতেও পরিবর্তন দেখা যায়। এগুলো হলো, স্বাভাবিক অবস্থায়,

>>> যে মাত্রায় ব্যক্তি নিজেকে প্রকাশ করতো

>>> যে দ্রুততার সাথে কথা বলতো

>>> যে সুরে কথা বলতো

>>> ব্যক্তির কন্ঠের শক্তিমাত্রা বা দূর্বলতার মাত্রা

>>> কথা বলার সময় স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের হার

>>> কথা বলার সময় শব্দচয়ন

 

রাগান্বিত অবস্থায় এসকল শারীরিক ও বাচনভঙ্গির কারণে ব্যক্তির শুধু কন্ঠটাই নয় বরং পুরো ব্যক্তিটাকেই আমাদের কাছে অচেনা মনে হয়।

 

লেখক,

দিদারুল ইসলাম

 

source:https://www.britishvoiceassociation.org.uk/voicecare_stress-emotion-voice.htm

 

https://kirbanu.com/emotions-your-voice-self-acceptance/

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
5 টি উত্তর 443 বার দেখা হয়েছে
22 জানুয়ারি 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)
+13 টি ভোট
1 উত্তর 2,195 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 526 বার দেখা হয়েছে
29 জানুয়ারি 2023 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fatema Tasnim (4,950 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,461 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

268,681 জন সদস্য

45 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 43 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  2. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  3. JoannaTreat1

    100 পয়েন্ট

  4. callofdutyvncom

    100 পয়েন্ট

  5. go6623com

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...