Tazkia Ferdous: #প্যানিক ডিজঅর্ডার কী?
প্যানিক ডিজঅর্ডার উদ্বেগ জনিত এক ধরনের মানসিক সমস্যা। আমাদের এই সমাজ এইসব রোগকে অনেক ছোট করে দেখে । একজন রোগী সরাসরি এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান না ।
কারন তাকে পাগল হিসেবে উপাধি দিয়ে দেওয়া হয়।
প্যানিক ডিজঅর্ডারের লক্ষণগুলো কী-
লক্ষণগুলোকে বিশ্লেষণ করলে আমরা আরো পরিষ্কার হয়ে যাব। এটা হঠাৎ করে হচ্ছে। কোনো মানুষ অফিসে বসেছিল, বস ডাকছে। বসের সামনে আজ কঠিন কিছু তাকে মোকাবিলা করতে হবে। এ রকম একটি চিন্তা হয়তো তার মাথার মধ্যে কাজ করছে। হঠাৎ করে মনে হলো, তার বুক ধড়ফড় করছে, শরীর ঘেমে যাচ্ছে, দম বোধ হয় বন্ধ হয়ে গেল। এই আমি মরে গেলাম। আমার আর বাঁচার কোনো পথ নেই। দম নিতে পারছি না, হাত-পা কাঁপছে। শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে, গলায় কী যেন আটকে গেল। বুকের ভেতর আঁটসাঁট লাগছে। হার্ট বোধ হয় বন্ধ হয়ে গেল। বমি বমি লাগছে। হাত- পা অবশ। এই বিষয়গুলো হঠাৎ করে হয়। রোগী ভাবে আমি বোধ হয়, মরেই গেলাম। আমার আর বাঁচার কোনো পথ নেই। এই শেষ আমি। এ রকম হলে, এটি প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ।
তবে যদি প্যানিক ডিজঅর্ডারের কথা বলা হয়, তাহলে অন্যভাবে বলতে হবে। এটি এক মাসের মধ্যে আরেকবার হতে হবে। রোগী যদি মনে করে, আমার আবার এমন হতে পারে, এই আমি মরে যেতে পারি। এই ভয়টা যদি তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়, তাহলে আমরা তাকে প্যানিক ডিজঅর্ডার বলতে পারি। এটি তার দৈনন্দিন জীবন যাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যেকোনো মনোরোগ ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পেশাগত দিককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আরো একটি বিষয় হলো, প্যানিক ডিজঅর্ডার যখন নির্ণয় করা হয়, তখন অন্য অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার থেকে একে ভিন্ন করতে হবে। অনেক সময় সোশ্যাল ফোবিয়া, বসের কাছে গেল বা সামাজিক অনুষ্ঠানে গেল, তখনো এ রকম কিছু হয়ে যেতে পারে, সেই ভয়েও কিন্তু অ্যাটাক হতে পারে। এগুলোকে আমাদের ভাগ করে নিতে হবে।
তো আসুন আমরা নিজেদের মধ্যে যারা এই রোগে আক্রান্ত তাদের সাহায্য করি , অবহেলা করে তাদের দূরে না ফেলি । একজন ভাল মানসিক ডাক্তার দ্বারা তার চিকিৎসা ব্যবস্থা করি ।
Collected from 20 Minute Medical