প্রথমত বেশিরভাগ স্পেস এজেন্সি সরকারি,তাই তাদের অর্থনৈতিক লাভ ক্ষতির হিসাব করতে হয়না।বিভিন্ন গবেষণার কাজে যেমন সরকার অর্থ বরাদ্দ দেয়,এক্ষেত্রেও একই।
মহাকাশ গবেষণার অবশ্যই প্রয়োজন আছে,এর অনেক কারণ আছে।তার মধ্যে একটা বলি,
ডাইনোসরসহ পৃথিবীর বেশিরভাগ প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছিল কেন?
একটা উল্কার আঘাতে।ভবিষ্যতে যদি এরকম উল্কা বা কোনোকিছু আসে,তাহলে কি আমাদের অবস্থাও সেই প্রাণীগুলোর মতো হবেনা?
মহাকাশ গবেষণার ফলেই তো আমরা জানতে পারছি কখন কি ঘটছে এবং আগে থেকে অনুমান করাও সম্ভব হচ্ছে।উল্কা বা মহামারী বা বিশ্বযু** এর কারণে যদি পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যায় তখন আমরা কি করবো?
আমাদের চিন্তা করতে হয় আমাদের জীবন আর পরের ২/১ প্রজন্ম নিয়ে।কিন্তু তাদের সুদূর ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হয়।
আর স্পেসএক্সের মতো প্রাইভেট এজেন্সিগুলোর ক্ষেত্রে তারা রকেট লঞ্চ থেকে,স্যাটেলাইটের বিভিন্ন ধরণের সেবা দিয়ে(যেমনঃস্টারলিংক) ,স্যাটেলাইট বানিয়ে দিয়ে,ISS এ নভোচারী ও বিভিন্ন সরঞ্জাম পাঠিয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন আয়ের উৎস আছে। নাসা নিজেই স্পেসএক্সের সাথে চুক্তি করে বিভিন্ন মিশনের জন্য,কারণ নাসার চেয়ে অনেক কম খরচে স্পেসএক্স রকেট লঞ্চ করতে পারে। আর ভবিষ্যতে যখন স্পেস ভ্রমণ চালু হবে,তখন বুঝতেই পারছেন কি পরিমাণ আয় হবে স্পেস এজেন্সিগুলোর।আর মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার পাল্লায় যদি এগিয়ে যেতে পারে,তারাই সেখানকার মাথা হবে।
~জিহাদুল আমিন।