ইছহাক
প্রথমে ছবি তুলে ভোল্টেজ সিগন্যালটাকে অ্যামপ্লিফায় করা হয়। তারপর এ্যান্টেনার মাধ্যমে মাইক্রোওয়েভ সিগনালে কনভার্ট করে নাসার (নিকটতম) স্যাটেলাইটে পাঠানো হয়। স্যাটেলাইট রিসিভ করে আরো বহুগুণে অ্যাপ্লিফাই করে সিগন্যালটিকে জিওস্টেশনারি আর্থ অরবিটে অবস্থিত স্যাটেলাইটে পাঠায়। এই স্যাটেলাইট ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৬০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত, যেখানে পৃথিবী এবং স্যাটেলাইট এর কৌনিক বেগ সমান বলে পৃথিবীর সাপেক্ষে স্যাটেলাইটটিকে স্থির দেখায়। এই স্যাটেলাইটটি সিগন্যালটি অ্যামপ্লিফাই করে ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত নাসার আর্থ স্টেশনে পাঠায়। তারপর সিগন্যালটিকে পূনরায় ভোল্টেজ সিগন্যালে কনভার্ট করা হয়।
কয়েকজন লিখেছেন "রেডিও ওয়েভ"। অথচ রেডিও ওয়েভ দিয়ে এত বেশি দূরত্বে কমিউনিকেশন করা সম্ভব না। রেডিও ওয়েভ বায়ুমন্ডল এর সব স্তর (মেসোস্পেয়ার, ট্রোপোস্পেয়ার, স্ট্রা-ট্রোপোস্পেয়ার এবং আয়নোস্ফিয়ার) ভেদ করতে পারলেও বেশিদূর যেতে পারে না। আয়নোস্ফিয়ার হলো বায়ুমন্ডল এর সর্বশেষ স্তর - যা ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৪০০-৪৫০ কি.মি. দূরে অবস্থিত। স্পেস ওয়েভ কমিউনিকেশনে কী আমরা দেখতে পাই? ওয়েভ স্কেটারিং কোথায় হয়? রেডিও ওয়েভ তো আয়নোস্ফিয়ার এর সাথে ধাক্কা খেয়ে (অর্থাৎ রিফ্লেক্ট হয়ে) ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। তাই নরমাল স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সী ব্যান্ড গুলো (S, C, X, Ku, K, Ka) রিচার্জ স্যাটেলাইট গুলোতে ব্যবহৃত হয় না। কারণ এইসব ব্যান্ডের সিগন্যাল রিচার্জ স্যাটেলাইট এর ট্রান্সপোন্ডার পর্যন্ত যেতে পারে না।
S=2.6-3.95
C=3.95-5.85
X=8.3-12.04
Ku=12.04-18
K=18.0-26.5
Ka=26.57-40
এককঃ GHz বা 10^9GHz
ককমিউনিকেশন স্যাটেলাইট এর ক্ষেত্রে এই ফ্রিকুয়েন্সী ব্যান্ড গুলো ব্যবহৃত হয়। S C X ব্যবহৃত হয় ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫০০০কি.মি. থেকে ৩৯০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত স্যাটেলাইটে। আর Ku, K, Ka ব্যবহৃত হয় GPS স্যাটেলাইটে। এছাড়াও U, L, LS ব্যান্ডের ফ্রিকুয়েন্সী স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ এগুলো দ্বারা স্যাটেলাইটের গতি, তাপমাত্রা, পাওয়ার সিস্টেম ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।