সেপটিক ট্যাঙ্কগুলি প্রায়শই গ্রামীণ এলাকায়, ক্যাম্প গ্রাউন্ডে এবং পিকনিক এলাকায় নর্দমা ব্যবস্থার জায়গায় মানব বর্জ্য এবং বর্জ্য জলে পৃথক কঠিন পদার্থ এবং তরল শোধন করতে ব্যবহৃত হয়। বর্জ্যের তরল অংশ একটি ড্রেন ফিল্ডের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয় যেখানে মাটিতে প্রাকৃতিক ফিল্টারিং সঞ্চালিত হয়।
মলমূত্র(সিউয়েজ) জমা রাখাই এর কাজ। তবে সাধারণের চেয়ে একটু অন্যরকম ভাবে কাজ করে এই ট্যাংক। সেপটিক ট্যাংকের মাঝে একটি ডিভাইডার দিয়ে দুটি চেম্বার আলাদা হয়। একটিতে ভারী পদার্থ (মল) জমা থাকে, ১ম চেম্বার থেকে উপচে পড়া তরল(মূত্র) ২য় চেম্বারে গিয়ে জমা হয়।
ট্যাঙ্কের অভ্যন্তরে ১ ম চেম্বারে ৩ টা স্তর সৃষ্টি হয়। চর্বি জাতীয় পদার্থের স্তর, তরল পদার্থের স্তর, ভারী পদার্থের স্তর(তলানী)। ভারী পদার্থের স্তর(তলানী) হল৩য় স্তর ট্যাঙ্কের অভ্যন্তরে ব্যাকটেরিয়াঘটিত কারণে প্রাকৃতিক ভাবেই নিঃশেষ হতে থাকে যদি মানুষের সংখ্যা অনুযায়ী ট্যাঙ্কের ডিজাইন করা হয়। ১ম স্তরের তরল আউটলেট পাইপ দিয়ে ২য় চেম্বারে চলে গিয়ে ১ম চেম্বার খালি করে, আর ১ম স্তরে তেল জাতীয় ভাসমান পদার্থ ভাসতে থাকে। দুটি চেম্বারেই সৃষ্ট অনাহুত গ্যাসের কারণে যেন দূর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য ১টি বা ২টি ভেন্ট পাইপ লাগানো হয় গ্যাস বাইরে বের করে দেয়ার জন্য। ২য় চেম্বার থেকে আউটলেট পাইপের মাধ্যমে তরল ড্রেনে বা অন্য কোথাও ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। তলানী বা স্লাজ বৃদ্ধি পেলে চেম্বারের অ্যাক্সেস লীড বা ঢাকনা খুলে পরিষ্কার করা হয়।
-সংগৃহীত