CO (কার্বন মনোক্সাইড) কে নিরব ঘাতক বলা হয়। এটা বাতাসের চেয়ে ভারী হওয়ায় যে বাতাসে না থেকে সহজেই বিভিন্ন গর্ত, সেপটিক ট্যাংক, কুয়ায় (যেগুলো সাধারণত অব্যবহৃত, বা নড়াচড়া করা হয় না) গিয়ে জমা হয়। এই গ্যাসটি বর্নহীন ও গন্ধহীন গ্যাস, তাই নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলেও বুঝা যায় না।
আমাদের শরীরে যখন অক্সিজেন প্রবেশ করে, সেটা রক্তের হিমোগ্লোবিন এর সাথে বিক্রিয়া করে অক্সিহিমোগ্লোবিন নামক যৌগ তৈরি করে, এবং সারাদেহে অক্সিজেন পরিবাহিত হয়।
সমস্যা হলো যখন CO প্রবেশ করে, তখন এটা অক্সিজেনের বদলে নিজে হিমোগ্লোবিন এর সাথে বিক্রিয়া করে, এতে দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের নাক এটা ধরতে পারে না, যেহেতু গ্যাসের কোনো গন্ধ নাই।
এভাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই শরীরে অক্সিজেন শূন্যের কোটায় নেমে আসে, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যায়। যারা এসব না জেনে তাদের উদ্ধার করতে যায়, তারাও একই ভাবে মারা যায়।