নিজের ডিম ফোটানোর জন্য স্ত্রী মশার দরকার হয় স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত। সুতরাং স্ত্রী মশা মানুষকে পেলেই রক্ত নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর গবেষণা থেকে জানা যায়, ৫০ মিটার দূর থেকেই মানুষের নিশ্বাসের সঙ্গে বেরোনো কার্বন ডাই-অক্সাইডের গন্ধ চিনতে পারে মশা। পরিবেশের আর পাঁচটা কার্বন ডাই-অক্সাইড উেসর থেকে মানুষের নিশ্বাসের ফারাক সহজেই বোঝে মশা। কারণ, মানুষের নিশ্বাসে থাকে কার্বন ডাই-অক্সাইড ককটেল (ল্যাকটিক অ্যাসিড, অক্টানল, ফ্যাটি অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিডের মিশ্রণ)।
এদিকে মানুষের কাছাকাছি চলে এলেই ২০ সেন্টিমিটার দূর থেকে মশা ঘামের গন্ধ পায়। ঘামের মধ্যে মিশে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড শনাক্ত করেই কামড়াতে আসে মশা মশার পছন্দ। এর মধ্যে রয়েছে রঙেরও প্রভাব। অন্তত ১০ মিটার দূর থেকেই মশা গাঢ় লাল, গাঢ় নীল, কালো ও অতিগাঢ় রংগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারে। এসব রঙের দিকে ছুটে আসে মশা। তাই হালকা রঙের পোশাক মশা এড়াতে অনেকটাই সাহায্য করে। মানুষের গায়ের গন্ধ মশার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঘামের গন্ধ এমনিই টেনে আনে মশাকে। তার ওপর সেই ঘামে যদি ইথাইল অ্যালকোহলের গন্ধ মিশে থাকে, তাহলে সেই গন্ধ মশাকে আরও প্রলুব্ধ করে। তাই বেশি মোটা, পেটুক, মদ্যপায়ীদের মশা বেশি পছন্দ করে। একই কারণে অত্যধিক সুগন্ধিযুক্ত সাবান, ডিওডোর্যান্ট, পারফিউম ব্যবহারকারীদেরও মশার ভারি পছন্দ। চটজলদি ঘাম মুছে নিলে, সুগন্ধি এড়িয়ে চললে কিছুটা রেহাই মেলে মশা থেকে।
১১ আগষ্ট, ২০১৭
দৈনিক ইত্তেফাক।