মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর লিঙ্গ সেক্স ক্রোমোসোমের উপর নির্ভর করে। অনেক প্রাণী ও মাছের সেক্স ক্রোমোসোম না থাকার তাদের লিঙ্গ নির্ধারিত হয় মস্তিষ্ক, হরমোন, পরিবেশ ইত্যাদির প্রভাবে। অনেক প্রাণী জন্মের পর পুরুষ বা স্ত্রী থাকলেও পরিণত বয়সে লিঙ্গ পরিবর্তন হয়। যেমন : চিতল হায়না, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাটলফিশ, কিছু প্রজাতির ঈল মাছ, ক্লাউন মাছ, নর্দান কার্ডিনাল পাখি, উভলিঙ্গ মুরগি।
উভলিঙ্গ মুরগি নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যাক। কোনো জীব প্রাকৃতিকভাবে স্ত্রী ও পুরুষ উভয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হলে এই অবস্থাকে গাইনানড্রোমরফিজম (Gynandromorphism) বলে। হাঁস, মুরগি, প্রজাপতি, চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মাঝে গাইনানড্রোমরফিজম দেখা যায়। এটি এক ধরনের জিনগত ত্রুটি। গাইনানড্রোমরফ মুরগির স্ত্রী লিঙ্গধারী অংশ স্ত্রী মুরগির মতো বৈশিষ্ট্য লাভ করে এবং পুরুষ লিঙ্গধারী অংশ পুরুষ মুরগির মতো বৈশিষ্ট্য লাভ করে। এমন মুরগির কঙ্কালের গঠন দুই পাশে দুই রকম হয়। ময়নাতদন্ত করে দেখা গেছে যে, এদের ভিতর অন্ড-কোষ ও ডিম্বা-শয় উভয়ই আছে। দ্বিপার্শ্বিয় বৈশিষ্ট্যের এই মুরগি ছোট আকারের ডিমও দেয়।
নিশাত তাসনিম | সায়েন্স বী