মানুষ যখন অপরের সাথে ঝগড়া করে তখন তার রাগ থাকে খুবই বেশি। আর ঠিক এই কারণেই ঝগড়ার সময় মানুষের গলার আওয়াজ বাড়ার ঘটনার সাথে রাগ কিংবা ক্রোধের সরাসরি সম্পর্ক ররেছে।
রাগ কিংবা ক্রোধ এই জিনিসটাকে বোঝার স্বার্থে, আগে আমাদের অনুধাবণ করা জরুরী যে এটি আমাদের দেহের মধ্যে ঠিক কী ধরণের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটায় যে কারণে মাত্রাতিরিক্ত রাগান্বিত হলে আমাদের আচরণে কী পরিবর্তন আসে এবং ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমরা কী চিন্তা করি এবং কী চিন্তা করতে পারি না। আর আজকে এই বিষয়গুলোই ছোট্ট করে উপস্থাপনের চেষ্টা করবো।
বিবিসি'র তথ্যমতেঃ- যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর রায়ান মার্টিন বলেন, রাগ হলে মানুষের সহানুভূতিশীল স্নায়ুবিক কার্যক্রম শুরু হয়।
"রাগ হলে আপনার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হয়ে যায়, আপনি ঘামতে শুরু করবেন এবং পরিপাক ক্রিয়া ধীরগতিতে চলতে শুরু করে।"
তখন একই সাথে মস্তিষ্কও ভিন্ন আচরণ করা শুরু করে। মানুষ যখন তীব্রভাবে কিছু অনুভব করে, তখন চিন্তা ভাবনার অধিকাংশই ঐ একটি বিষয় কেন্দ্রিক হয়ে থাকে।তখন তারা 'টিকে থাকা' বা 'প্রতিশোধ নেয়ার' বিষয়টিকেই বেশী প্রাধান্য দেয়।
আর এর ফলেই ঝগড়া করা সময় কিংবা রাগারাগির সময় আমাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকেনা বলল্লেই চলে। যার কারণে অপর পক্ষের প্রতি জোর গলায় চেঁচামেচি করা, গালাগালি, ভাংচুর, আঘাতের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।
প্রকৃতপক্ষে, মানুষ যখন মনে করে যে তার সাথে অবিচার করা হচ্ছে, তখনই শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে এধরণের উপসর্গ প্রকাশ পায়।