সম্প্রতি একটা ফ্যাক্ট হিসেবে গুজব ছড়িয়েছে যে, অন্ড্রকোষের মুল্য কোটি টাকা।
আসুন এই গুজবের পেছনের দৃশ্যটা দেখে আসি।
কয়েক দশক আগে মানুষের টাকা দরকার হলে একটা জিনিস প্রচলিত ছিল যে মেডিক্যাল সায়েন্সের কাছে তারা তাদের দেহ বিক্রি করে উপার্জন করতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কিছু কথা ছড়িয়েছিল যে, হাভার্ড মেডিকেল স্কুলে শরীরের অঙ্গ বিক্রি করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানটি ৫০০ ডলার করে দিয়ে থাকে অঙ্গের জন্য।
১৯৬০ এর দশকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়ার উন্নত হওয়ার পর এই গুজব আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন অঙ্গের মুল্য (বিশেষ করে একটি অন্ড্রকোষ) এর মত বিষয় হাইওয়ের পাশে বা পোস্টার হিসেবে বিলি হয়। আর এই সব স্কিম অনেক ভাল এবং স্বাস্থ্যের তেমন একটা ঝুঁকি নেই বলে প্রচার হয়। অন্ডকোষ ডোনেট এর সুবিধা
প্রচারের কিছু কথা প্রচার হয়েছিল যেমনঃ
মানুষ ডোনেটের পরও যৌন সম্পর্ক করতে পারে, আর একটি অন্ডকোষ না থাকলে স্পার্ম এর কোনো সমস্যা হয় না, কৃত্রিম অঙ্গ লাগিয়ে আবার আগের মত হওয়া যায়, শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, এমন কথাও প্রচার হতে থাকে। science bee
কিন্তু আমেরিকাতে ১৯৮৪ সালে অঙ্গ প্রতিস্থাপন এর উপর আইন করা হলেও এই গুজব চলতেই থাকে। এবং দুই দশক আগে থেকে বিভিন্ন জায়গাতে ১০০০/২০০০/৫০০০ ডলার মুল্য অঙ্গ পাওয়া যায় বলে গুজব শুরু হয়, যেখানে প্রতিটা অন্ডকোষ সবচেয়ে দামি বা ৫০০০০/১৬০০০০$ ডলার এ বিক্রি হয় বলে ছড়িয়ে পরে।
নভেম্বর ২০১৩ সালে, লাস ভেগাসের বাসিন্দা মার্ক প্যারিসি দাবি করেছিলেন, টিএলসির এর একটি অনুষ্ঠানের জন্য তার অন্ডকোষ ৩৫০০০$ ডলারে বিক্রি করেছেন এবং কৃত্রিম লাগিয়েছেন। কিন্তু সেখানকার গবেষকদের থেকে জানা যায় এইটা শুধু একটা গবেষণার জন্য ছিল এবং সব দিক বিবেচনা করেই একটা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
সোর্সঃ
https://www.snopes.com/fact-check/sell-testicles/