উচ্চতা বলতে ঠিক কতটুকু উচ্চতা বলেছেন তা আমি ক্লিয়ার নই। তবে এটা সত্য যে ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে উঠবেন আপনি তত কম শব্দ শুনতে পাবেন।
শব্দ একপ্রকার যান্ত্রিক তরঙ্গ। অর্থাৎ,শব্দ চলাচলের জন্য প্রয়োজন স্থিতিস্থাপক মাধ্যম। আমরা যখন মুখ দিয়ে কোনো শব্দ শুনি তখন সেই শব্দ তরঙ্গ কোনোনা কোনো মাধ্যমে আমাদের কানের পর্দাকে কম্পিত করে আর তখন মস্তিকে শ্রবণের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। মাধ্যমের ঘনত্ব যত বেশি হবে শব্দের বেগ তত বেশি। যেমন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়ঃ
লোহায় শব্দের বেগ= 5130 মিটার/সেকেন্ড
পানিতে শব্দের বেগ= 1450 মিটার/সেকেন্ড
বায়ুতে শব্দের বেগ= 344 মিটার/সেকেন্ড
শুন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ= 0 মিটার/সেকেন্ড।
[বিঃদ্রঃ উপরে উল্লেখিত শব্দের মানগুলোর তাপমাত্রারও একটা ব্যাপার আছে কারন তাপমাত্রা বাড়া-কমার সাথে বস্তুর ঘনত্বের ও পরিবর্তন হয়; যাইহোক প্রশ্নের আলোচ্য বিষয় সেটা না]
.
.
.
.
আগেই বলেছি আমরা যে শব্দ শুনে থাকি তার চলাচলের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন। এখন যেহুতু ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায় ততোই বায়ুর ঘনত্ব ততই কমতে থাকে আর এই কারনে শব্দের বেগও কমতে থাকে। ফলে আপনি ভূপৃষ্ঠের যতই নিচ হতে উপরে উঠবেন ততই কম শব্দ শুনবেন।
আর এভাবে একটা সময় পর মহাকাশে শব্দের বেগ হয়ে যায় শুন্য। তাই মহাকাশে এবং অন্যান্য দূরবর্তী স্থানে যান্ত্রিক তরঙ্গ (নিম্ন কম্পাঙ্কের সাউন্ড ওয়েভ)
ব্যাবহার না করে উচ্চ কম্পাঙ্কের (ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব) ব্যবহৃত হয় যা চলাচলের জন্য কোনো কোনো স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের দরকার হয়না অর্থাৎ, মহাশূন্যেও চলাচল করতে পারে।
Shah Reyajur Rahman Raj (সায়েন্স বী)