হাত কাঁপা কী?
কম্পন হলো কোনো বিশেষ পেশী সমূহের অনৈচ্ছিক নিয়মিত নড়াচড়া। হাত কাঁপা ( কব্জি, আঙ্গুল) পেশী সমূহের অনৈচ্ছিক নড়াচড়া যাকে কম্পমান হাতও বলে। এটি বয়স্কদের মাঝে তুলনামূলক বেশী পরিলক্ষিত হয় ফলে তাদের রোজকার কাজ করতে অসুবিধা হয়। তবে এটি প্রানঘাতি নয়। কিন্তু এটা মস্তিষ্কের কোষে গঠমান একটি পতন প্রক্রিয়ার নির্দেশ করতে পারে।
এর প্রধান লক্ষন ও উপসর্গঃ
হাত কাপার উপসর্গ খুবই সাধারন হাতের অনৈচ্ছিক নড়াচড়া স্পষ্টরূপে দেখা যায়।কিন্তু কখনো কখনো হাত কাপা কিছু উপসর্গের সাথেও জড়িয়ে থাকে। যেমনঃ-
•ধীরে ধীরে এক প্বার্শিক ( একদিকে) কাঁপুনি শুরু হয় যা পরে অন্য হাতেও ছড়িয়ে পরে। অর্থাৎ দুই হাতকে প্রভাবিত করে।
• হাতের নড়াচড়ার সাথে কাঁপুনি বৃদ্ধি হতে পারে।
• মানসিক চাপ, ক্লান্তি, উত্তেজক পদার্থের ব্যাবহার ইত্যাদির কারনেও কাপুনি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এর প্রধান কারনগুলোঃ-
হাত কাঁপা সাধারনত অপরিহার্য কাঁপুনি (স্নায়ুতন্ত্রের পদ্ধতির রোগ) বা পার্কিনসন্স অসুখের হয়। উভয়ই জিনের রোগ যা জিনের পরিবর্তন এর জন্য ঘটে।
হাত কাঁপার অন্যান্য কারনের মধ্যে আছেঃ-
১) হাইপারথাইরয়েডিজম
২)মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস
৩) ডায়স্টোনিয়া
৪) পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি
৫) স্ট্রোক
রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
পারিবারিক ইতিহাসের সাথে একটা বিশদ মেডিকেল এবং একটি সঠিক চিকিৎসাগত পরীক্ষিত হাত কাঁপার নির্নয় নিশ্চিত করে।কিছু রক্ত পরীক্ষা যেমনঃ সিবিসি, ভিটামিন বি-১২ এর মাত্রা সহ ইত্যাদি টেস্ট যা কাঁপুনির জন্য দায়ী অন্যান্য বিষয়গুলো বের করে।
রোগ গুরুতর হলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া অন্যথায় স্বাভবিক ব্যায়াম করলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সোর্সঃ myUpchar.com
ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়