যেখানে থাকি সেখানের বাজারে মুরগীর ডিমের হালি ২৮ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ৭ টাকা। মুরগীর ডিমের চাহিদা যেমন অনেক, তেমনি বাজারে সাপ্লাইও অনেক। এখন যদি কোন কারণে বাজারে মুরগীর ডিমের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে কিন্তু দাম বেড়ে যাবে। চাহিদার সাথে যোগানের সম্পর্ক অনেক।
এরকমই চাহিদাসম্পন্ন কিন্তু কম প্রাপ্যতার একটি খাবারের নাম হলো 'আলমাস'। এটি অ্যালবিনো স্টার্জিওন বা বেলুগা মাছের ডিম থেকে তৈরি এক ধরনের ক্যাভিয়ার, যার এক কেজির দাম ২,৯২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে যা সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাবার হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ জায়গা করে নিয়েছে।[1]
মাছের ডিমের সাথে লবণ মিশিয়ে তৈরি করা হয় ক্যাভিয়ার নামক দামি খাবার যা তৈরিতে স্টার্জিওন মাছের ডিমই ব্যবহৃত হয়। আর ক্যাভিয়ার তৈরিতে যখন অ্যালবিনো স্টার্জিওন বা বেলুগা মাছের ডিম ব্যবহৃত হয় তখন সেই ক্যাভিয়ার নাম হয়ে যায় আলমাস ক্যাভিয়ার- বর্তমান দুনিয়ার সবচেয়ে দামি খাবার।
এতো বেশি দাম হবার ৩টি কারণ উল্লেখ করা যায়-
- ডিম সংগ্রহ করা হয় ৬০ থেকে ১০০ বছর বয়সের অ্যালবিনো স্টার্জিওন বা বেলুগা মাছ থেকে। ৮ থেকে ২০ বছরের আগে তো এই মাছ প্রজননে সক্ষমই হয় না।
- উক্ত মাছ বিপন্ন জাতের। অর্থাৎ সংখ্যাতে অনেক অনেক কম, বিলুপ্ত হবার পথে।
- যোগানের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি।
১৯শতকের দিকেও খাবারটি অনেক সস্তা ছিল। এতোই সস্তা ছিল যে রেস্তোরাগুলোতে অন্য খাবারের সাথে ফ্রি দেয়া হতো। ইউরোপিয়ানরা তাদের পোষা প্রাণিদের দিয়ে খাওয়াতেন। অথচ বর্তমানে সবচেয়ে দামি খাবার এই আলমাস ক্যাভিয়ার।