স্থিতিশক্তি সাধারণত দুই ধরনের হয়। কোন বস্তু দুইভাবে স্থিতিশক্তি পেতে পারে।
১) নিজস্ব আকৃতি পরিবর্তনের জন্য স্থিতিশক্তি
২) অবস্থান পরিবর্তনের জন্য স্থিতিশক্তি
বিষয় দুটি উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক। যখন একটি রবারের তার কে কিছুটা টেনে বড় করা হয় তখন আমাদেরকে বাইরে থেকে বল প্রয়োগ করতে হয়। আবার তারটিকে ছেড়ে দিলে সেটি তার প্রাথমিক অবস্থানে ফিরে আসে। অর্থাৎ বাইরে থেকে আকৃতি পরিবর্তনের চেষ্টা করা হলে তারটির ভেতরেএকপ্রকার বলের উদ্ভব হয় যেটি এই পরিবর্তন কে বাধা দেয়। এই বল ই আকৃতি পরিবর্তনের জন্য স্থিতি শক্তি সৃষ্টি করে।
যেমন k বল ধ্রুবক সম্পন্ন একটি স্প্রিং কে x পরিমাণ টেনে বৃদ্ধি করা হলে তারমধ্যে kx2/2 পরিমাণ স্থিতি শক্তি সৃষ্টি হয়।
আবার ভূপৃষ্ঠ থাকা কোন বস্তুকে যদি কিছুটা উচ্চতায় তোলা হয় তখন তার উচ্চতার পরিবর্তনের জন্য ঐ বস্তুর মধ্যে স্থিতি শক্তির সৃষ্টি হয়, কারণ এক্ষেত্রে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে আমাদেরকে কার্য করতে হয়। এই কার্য ই স্থিতি শক্তি রূপে সঞ্চিত হয়।একে অবস্থান পরিবর্তনের জন্য স্থিতি শক্তি বলে। যেমন m ভরের একটি বস্তুকে h উচ্চতায় তোলা হলে সেটি mgh পরিমাণ স্থিতি শক্তি সঞ্চয় করে, যেখানে g হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ।