এটি এক ধরনের সংক্রমণ। ফাংগাস প্রধানত প্রোটিন খেয়ে বাঁচে। তাই শরীরের যে সব জায়গায় প্রোটিন থাকে, সেখানেই এই অসুখটি দেখা যায়। যেমন ত্বকের উপরিভাগ চুলে ও নখে। যে সব জায়গায় ঘাম বেশি হয় সেই সকল জায়গায় এই সংক্রমণের প্রভাব দেখা যায়। এই অসুখটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশের অসুখ।
শরীরের কোন কোন জায়গায় হাতে, পায়ে, মুখে, শরীরের অন্য নানা জায়গায় এই ফাংগাল ইনফেকশনটি দেখা যায়। বিশেষ করে শরীরের বিভিন্ন খাঁজে অর্থাৎ চাপা ও ঢাকা জায়গায় এই ইনফেকশনের প্রকোপ বেশি। যেমন স্তনের নীচে, বাহুমূলে, ঊরু ও জঙ্ঘার সন্ধিস্থল প্রভৃতিতে।
পায়ে যে ফাংগাল ইনফেকশন হয় তাকে অ্যাথলিট ফুট বলা হয়। এই অংশটি খুবই চুলকায় এবং আঁশের মতো ওঠে, ফাটা ফাটা হয়ে যায়। এটি সাধারণত পায়ের আঙুলের ফাঁকে দেখা যায়। যাঁরা বেশি খালি পায়ে ভিজে জায়গায় চলাফেরা করেন, জলে কাদায় হাঁটেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। অনেক সময় সাঁতারের জায়গা থেকে আসতে পারে।
নখের যে কোনও অংশে হতে পারে। ত্বকের তুলনায় নখে ফাংগাল ইনফেকশন কিছু বেশি দেখা যায়। কারণ, নখটা শরীরের শক্ত জায়গা। সংক্রমণ হলে নখের রং পালটে যায়। নখটি ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। নখের চার দিকের ত্বক মোটা হয়ে যায়।
মাথায়ও এই সংক্রমণ হতে পারে। সাধারণত বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই সেটা বেশি দেখা যায়। এটি অনেকটা জায়গা জুড়েই হয়। লাল হবে, চুলকোবে এবং পুঁজ ভর্তি একটা উঁচু ঢিপির মতো হয়ে উঠবে। এই জায়গাটি থেকে চুল উঠে যেতে পারে। তবে ইনফেকশন কমে গেলে আবার নতুন চুল গজাবে। বাচ্চাদের মুখে ফাংগাল ইনফেকশন হলে, সেটা খুবই কষ্টকর, এর ফলে অনেক সময় বাচ্চারা খাওয়া সম্পূর্ণ ছেড়ে দেয়। ন্যাপির জায়গাগুলিতেও এই সংক্রমণের প্রকোপ দেখা যায়।
মুখের ভিতরে এক ধরনের ফাংগাল ইনফেকশন হয়, একে বলা হয় থ্রাশ। মেয়েদের গর্ভাবস্থায় যোনির মধ্যে ফাংগাল ইনফেকশন খুব বেশি হয়। এটিকে দেখতে হয় একটা সাদা প্যাচ-এর মতো। ঘষে তুলে দিলে লাল একটি অংশ দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
ফাংগাল ইনফেকশন একই সঙ্গে শরীরের নানা জায়গায় হতে পারে।