যখন প্রস্টেট এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার মধ্যে প্রদাহ ঘটে তখন এটিকে প্রস্টেট ইনফেকশন/প্রস্টাইটিটিস বলে। প্রস্টেটের আকার আখরোট (Walnut) এর মত হয়। এটি মূত্রথলি আর লিঙ্গের বেসের মাঝখানে অবস্থিত।
বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রস্টেটকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু পুরুষের মধ্যে প্রস্টাটাইটিসের কোন উপসর্গ দেখা দেয় না, আবার কেউ কেউ তীব্র ব্যথাসহ অনেক কিছুই অনুভূত করে থাকেন।
টাইপঃ
প্রস্টেট ইনফেকশন ৪ ধরনের হতে পারে। যেমনঃ একিউট ব্যাকটেরিয়াল প্রস্টাইটিস, ক্রোনিক ব্যাকটেরিল প্রস্টাইটিস, ক্রোনিক প্রস্টাইটিস, এসিম্পটোম্যাটিক ইনফ্ল্যামেটরি প্রস্টাইটিস।
প্রস্টাইটিসের কারনঃ
প্রস্টেট ইনফেকশনের কারনসমূহ এখনও অজানা তবে গবেষকরা বলেন যে-
• বিভিন্ন জীবানু ক্রোনিক প্রস্টাইটিস ঘটাতে পারে
• আপনার ইমিউন সিস্টেমের জন্যও এমন হতে পারে
• আপনার ইমিউন সিস্টেম জড়িত স্নায়ুর ক্ষতির ফলেও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়
এছাড়া একিউট এবং ক্রোনিক ব্যাকটেরিয়াল প্রস্টাইটিসের কারন হলো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন। মাঝে মাঝে ব্যাকটেরিয়া প্রস্টেটের মাধ্যমা মূত্রনালী (Urethra) তে প্রবেশ করে ইনফেকশন ঘটায়।
প্রস্টেট ইনফেকশনের লক্ষ্মণঃ
প্রস্টেট ইনফেকশন বিভিন্ন টাইপের উপর নির্ভর করে। যেমন-
১.একিউট ব্যাকটেরিয়াল প্রস্টাইটিসের লক্ষণ গুলো হলো- প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া করা, বমি, শরীর ব্যথা, জ্বর, অ্যাবডোমেন/উদরে ব্যথা
২. ক্রোনিক ব্যাকটেরিয়াল প্রস্টাইটিসের লক্ষ্মণ গুলো হলো- প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া করা, উদরে ব্যথা, পিছনে ব্যথা, মূত্রথলি (Bladder) ব্যথা, টেস্টিকল/পেনিস ব্যথা, বেদনাদায়ক বীর্য নিষ্কাশন ইত্যাদি
৩. ক্রোনিক প্রস্টাইটিসের লক্ষ্মণগুলো অনেকটা ক্রোনিক ব্যাকটেরিয়াল প্রস্টাইটিসের অনুরূপ। তবে এগুলো ছাড়াও কিছু লক্ষ্মণ ২-৩ মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। যেমন- অন্ডকোষ এবং মলদ্বারের মাঝে ব্যথা, লিঙ্গে ব্যথা, কোমরের নিচের দিকে ব্যথা ইত্যাদি।
তাই এরকম লক্ষণগুলো দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।