আমাদের কেন ক্ষুধা লাগে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
210 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (28,740 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (2,110 পয়েন্ট)

আমাদের কেন ক্ষুধা লাগেঃ  

আমাদের মধ্য মস্তিষ্কের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশের নাম হাইপোথ্যালামাস। এই হাইপোথ্যালামাসের অনেক কাজের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, দেহের আজ্ঞাবহ অনুভূতির রিলে স্টেশন হিসেবে কাজ করা, এবং অতি অবশ্যই মস্তিষ্ককে ক্ষুধা ও তৃপ্তির অনুভূতি সম্পর্কে নিশ্চিত করা। এই নিশ্চিত করণের জন্য হাইপোথ্যালামাসের দুইটি কেন্দ্র থাকে। একটি ভোজন কেন্দ্র আরেকটি তৃপ্তি কেন্দ্র। এই দুইটি কেন্দ্রের কাজ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। এর মাঝে তৃপ্তি কেন্দ্রটি আবার রক্তে শর্করার পরিমানের প্রতি সংবেদনশীল। অর্থাৎ রক্তে শর্করার পরিমান কম হলেই তৃপ্তি কেন্দ্র উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ও ভোজন কেন্দ্রকে সংকেত পাঠায়। তৃপ্তি কেন্দ্রের সিগনাল পেয়ে ভোজন কেন্দ্র তার কাজে সচেষ্ট হয়। সে আমাদের সবচেয়ে বিস্তৃত করোটিক স্নায়ু ভ্যাগাস নার্ভের মধ্য দিয়ে পাকস্থলী, অন্ত্র, অগ্ন্যাশয়, যকৃত, লালাগ্রন্থি প্রভৃতি অংশে খবর পাঠায়। সে খবর পেয়ে পাকস্থলী সংকোচন প্রসারণ শুরু করে, লালাগ্রন্থি আর বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয় পাচক রস। কখনও কখনও দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে পাকস্থলীতে খুব স্বল্প সময়ে প্রচণ্ড সংকোচন হয়, একে হাঙ্গার কনট্রাকশন বলে। ক্ষুধার সময় মাঝে মাঝে পেটে মোচড় দিয়ে প্রচন্ড ব্যথার জন্য দায়ী এই হাঙ্গার কনট্রাকশন। যারা রোজ নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেয়ে অভ্যস্ত তাদের খাওয়ায় অনিয়ম হলে সেক্ষেত্রে হাঙ্গার কনট্রাকশন বেশি হয়। এরপর খাবার খেলে রক্তে শর্করার পরিমান স্বাভাবিক হলে হাইপোথ্যালামাসের তৃপ্তি কেন্দ্র, ভোজন কেন্দ্রকে আবার সিগনাল পাঠায় ফলে বিপরীত প্রক্রিয়ায় আমাদের ক্ষুধার অনুভূতি কমে আসে। যেহেতু মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাসের ভোজন ও তৃপ্তি কেন্দ্রদ্বয়ের উপর আমাদের খাওয়া দাওয়ার অনেকখানি অংশ নির্ভর করে তাই মস্তিষ্কের অন্যান্য কার্যকলাপের সাথে এর দারুন সম্পর্ক রয়েছে। আর এই সম্পর্কের জন্যই মস্তিষ্কে খাবার দেখার, বা গন্ধ শোঁকার অনুভূতি থেকে জিহ্বায় পানি আসে। ঠিক একই কারণে খাবারের কথা শুনলে বা চিন্তা করলেও মুখে পানি আসতে দেখা যায়। এই কেন্দ্রগুলোর কাজে কোন ধরনের গোলমাল হলে খুব ঝামেলা হয়। যেমন এক ধরণের রোগ আছে যাতে তৃপ্তি কেন্দ্র কখনোই তৃপ্ত হয় না ফলে মানুষটির বিরামহীনভাবে ক্ষুধা লাগতেই থাকে, আর তার তৃপ্তি কেন্দ্রকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে ক্রমাগত খেতে থাকা মানুষটি হয়ে যান অস্বাভাবিক রকম মোটা। এই অবস্থাকে পলিফেজিয়া বলা হয়ে থাকে। অনেক ডায়াবেটিস রোগীর পরিতৃপ্তি কেন্দ্রের শর্করা সংবেদী রিসেপটরগুলো নষ্ট হয়ে গেলে বা শর্করার প্রতি সংবেদনশীলতা কমে আসে, ফলে তাঁরা এধরণের অসুবিধায় ভুগে থাকেন। বারবার খাবার খাওয়ার কারণে তাঁদের রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিতৃপ্তি কেন্দ্র তৃপ্ত থাকে সবসময়, ফলে ক্ষুধা পায় না সেই মানুষটির আর সে না খেতে খেতে রোগা হতে থাকে। তাই কারও একেবারেই ক্ষুধা না লাগলে সেটি তার পাকস্থলী বা খাদ্যনালীর সমস্যা না মাথার

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 232 বার দেখা হয়েছে
30 ডিসেম্বর 2021 "সৃজনশীলতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ismot Rahman (28,740 পয়েন্ট)
+11 টি ভোট
2 টি উত্তর 468 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 543 বার দেখা হয়েছে
09 সেপ্টেম্বর 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Turjay Paul (3,190 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,759 বার দেখা হয়েছে
12 ডিসেম্বর 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nadia (4,020 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 981 বার দেখা হয়েছে

10,852 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

854,812 জন সদস্য

83 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 83 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. xocdia88aeorg

    100 পয়েন্ট

  2. pu88now

    100 পয়েন্ট

  3. Ggpokerrrcom1

    100 পয়েন্ট

  4. n8gamesorg

    100 পয়েন্ট

  5. hbbet2pro

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...