সমস্যার কথা যদি বলেন, নাহ্, ব্যাটারি বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কোনটিরই সমস্যা হবে না। তবে এভাবে আসলে ফোনের ব্যাটারি সঠিক ভাবে চার্জিত হবে না। এবং অনেক অনেক বেশি সময় লাগবে।
প্রশ্ন হল কেন? সেই উত্তরেই আসা যাক।
ল্যাপটপের যে ইউএসবি পোর্ট থাকে সেটি মূলত তথ্য আদান-প্রদানের জন্য, কোন ডিভাইসকে চার্জিত করার জন্য নয়। আর ব্যাটারি চার্জ করার জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট ভোল্টেজ এবং নির্দিষ্ট কারেন্টের। হ্যাঁ, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্ট নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ৫ ভোল্ট ভোল্টেজ সরবরাহ করে থাকে। এই ভোল্টেজ থাকার কারণ পেনড্রাইভ কিংবা ফোনে ইলেকট্রিক সিগনাল পাঠানো, এবং মেমোরির ট্রানজিস্টর সুইচগুলো সচল রাখার জন্য, এতে অল্প কারেন্টের প্রয়োজন হয়। কম্পিউটারের ইউএসবি থেকে সর্বোচ্চ আউটপুট কারেন্ট হল ০.৫ অ্যাম্পিয়ার। অর্থাৎ, সর্বোচ্চ ২.৫ ওয়াট। আর সাধারণ ফিচার ফোনগুলো চার্জিং এর জন্য কমপক্ষে চার ওয়াটের চার্জার ব্যবহার করে (৫ ভোল্ট, ০.৮ অ্যাম্পিয়ার বা ৮০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার)। চার্জার ভেদে এর মান ভিন্ন হয়। কোন কোন ফোন ১.৫ অ্যাম্পিয়ার, ৫ ভোল্ট ব্যবহার করে, অর্থাৎ, ৭.৫ ওয়াট। কিন্তু ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের ইউএসবি সরবরাহ করে ২.৫ ওয়াট।
এর ফলে ব্যাটারি চার্জ হবে ঠিকই, কিন্তু সময় লাগবে অনেক বেশি।