তুলসী গাছ একটি ঔষধি গাছ।তুলসী গাছের পাতা, বীজ, বাকল ও শেকড় কোন কিছুই ফেলনা নয়।তুলসী ঔষধি ও চিরহরিৎ গুল্মজাতীয় গাছ। পাতা ২ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা।তুলসী গাছের ফুল, ফল এবং পাতার একটি ঝাঁজালো গন্ধ আছে।
তুলসী পরিচিতিঃতুলসী এর ইংরেজি নাম Holy basil এবং বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Ocimum basilicum Linn.তুলসী গাছ প্রধানত চার প্রকার। রাম তুলসী, সাদা তুলসী, কালচা তুলসী, বাবুই তুলসী।
তুলসীর পাতার উপকারিতাঃ
(১)তুলসী দেহের বিষাক্ত উপাদান দূর করে।
(২)তুলসী মাথা ব্যাথা ও শরীর ব্যাথা কমাতে খুবই উপকারী।
(৩)তুলসী পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
(৪)প্রাচীনকাল থেকে তুলসী রাতকানা রোগ সারাতে ব্যবহ্রত হচ্ছে ।
(৫)চর্বিজনিত হৃদরোগে এন্টি অক্সিডেন্টের ভূমিকা পালন করে তুলসী।
(৬)সকালবেলা খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি বাড়বে।
(৭)মুখের দুর্গন্ধ, দাঁতের ক্ষয়সহ অন্যান্য দন্ত চিকিৎসায় তুলসী অতুলনীয়।
(৮)তুলসীর পাতায় তৈরি হালকা গরম জুস পাকস্থলীর প্রদাহ নিরাময় করে।
(৯)চোখের সমস্যা দূর করতে রাতে কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
(১০)তুলসী পাতার রস কাজলের মত চোখে দিলে চোখ ওঠা, চোখ দিয়ে জল পড়া বন্ধ হয়।
(১১)তুলসী চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়।
(১২)তুলসীর ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
(১৩)পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরার সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার খান৷ সমস্যা চলে যাবে।
(১৪)ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ঠাণ্ডা-সর্দিতে তুলসী পাতার সঙ্গে মধু ও আদার মিশ্রণ দারুণ কাজ করে।
(১৫)তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। তুলসী চা হিসাবেও এটি বেশ জনপ্রিয়।
(১৬)ঠাণ্ডা-কাশি থেকে রক্ষা পেতে তুলসী পাতা ও আদার রসের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ঠাণ্ডা-কাশি ভালো হবে।
(১৭)শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান, এতে জ্বালাপোড়া কমে যাবে। পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে এবং পোড়া দাগ ওঠে যাবে।
(১৮)জ্বর হলে পানির মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিছরি মিশিয়ে ভাল করে সিদ্ধ করুন৷ অথবা তিনটি দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ওই বড়িটা পানির সঙ্গে খান৷ জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে৷