চকলেট খাওয়ার কী কোনো উপকারিতা আছ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
655 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (2,760 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (2,760 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

চকলেট খাওয়ার কিছু উপকারিতা

প্রতিদিনই আমরা কম বেশি চকলেট খেয়ে থাকি। বিশেষত বর্তমান সময়ে এটি আমাদের খাদ্যাভ্যাসের অংশ হয়ে উঠেছে। চকলেটে উচ্চ ফ্যাট এবং চিনির অতিরিক্ত ব্যবহারের  কারণে   তা ব্রণ, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, করোনারি ধমনী রোগ এবং ডায়াবেটিসের এর মতো বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে ।
চকোলেটের মূল উপাদান কোকোতে জৈবিকভাবে সক্রিয় ফেনলিক যৌগ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এটি যেমন বার্ধক্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, তেমনি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, রক্তচাপের মতো পরিস্থিতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ  করে  থাকে। 

তবে চকলেটের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও রয়েছে। ভালো মানের ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। ৭০-৮৫ ভাগ কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেটকেই বলে ডার্ক চকলেট।
 ডার্ক চকোলেটের মধ্যে কোকো সামগ্রী যত বেশি থাকবে, তার উপকারিতা তত বেশি।  ডার্ক চকোলেটে সাধারণত তুলনামূলকভাবে কম ফ্যাট এবং চিনি থাকে যা একে সাধারণ চকলেটের থেকে বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ করে ।    
ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা :

এ চকলেটের প্রধান উপাদান হল: ফাইবার, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। দিনে অল্প পরিমাণে ডার্ক চকলেট ও ৫০ ভাগ পর্যন্ত হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে । 

এছাড়াও নিয়মিত চকলেট খেলে দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও শারীরিক প্রদাহ রোধেও ডার্ক চকলেট সহায়তা করে।

ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে সক্রিয় জৈব উপাদান রয়েছে, যা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এসব অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোধ করে এবং ক্যানসার রোধে ভূমিকা রাখে। 

কোকোয়া বীজের ফ্ল্যাভানল মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, যা মানুষকে আর উদ্দীপিত করে তোলে। নেচার নিউরোসায়েন্সের এক গবেষণায় দেখা গেছে ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সুস্থ ব্যক্তি যারা তিন মাস উচ্চ ফ্ল্যাভানলযুক্ত কোকোয়া পানীয় পান করেছেন, তাদের স্মৃতিশক্তি বেড়েছে।

চকলেটে থাকা ট্রিপটফেন নামের একটি উপাদান বিষণ্নতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি মস্তিষ্কে ডোপামিন বাড়িয়ে শরীরে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। দিনে ৪০ গ্রাম ডার্ক চকলেট খেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্ট্রেস হরমোন কমে যায়। 

এ ছাড়া চকলেটে ফিনাইল ইথাইলামাইন নামক উপাদান আছে, গবেষকেরা যার নাম দিয়েছেন ‘লাভ কেমিক্যাল’। তাই সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্যও নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।


চকলেট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা:

চকলেট কেনার সময় অবশ্যই কম মিষ্টি যুক্ত টা নিতে হবে । সর্বোচ্চ মাত্রার কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেটই ভালো। সম্ভব হলে অরগানিক চকলেট খাওয়া উচিত। 

চকলেটের লেবেলে যদি লেখা থাকে ‘প্রসেসড উইথ অ্যালকালি’ তবে তা পরিহার করতে হবে। এই পদ্ধতিতে তৈরি চকলেটে কোকোয়ার প্রাকৃতিক ফ্ল্যাভানল অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ভেঙে ফেলা হয়। 

কোকোয়া বাটার–বিহীন চকলেট কিনুন।

তবে এত সব উপকারী গুণাগুণ আছে বলেই যত খুশি চকলেট খাওয়া যাবে, তা নয়। পরিমিত মাত্রায় চকলেট খাওয়া ভালো। 

উল্লিখিত সম্ভাব্য স্বাস্থ্যগত প্রভাবগুলো একক অধ্যয়ন থেকে এসেছে।  চকোলেট খাওয়া সত্যই মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। এছাড়াও, চকোলেট বারগুলিতে কেবল কোকো ছাড়াও আরো অনেক উপাদান থাকে। বিশেষ করে আমাদের দেশীয় চকোলেট গুলোতে চিনি এবং ফ্যাট এর পরিমাণ বেশি থাকে। এ জাতীয় চকলেট গুলোর ক্ষেত্রে উপাদানগুলির উপকারিতা এবং ঝুঁকিগুলি বিবেচনা করা দরকার।

©মুশফিকুর রহমান | সাইন্স বী

তথ্যসূত্র: healthline, Prothom alo, The guardian
 

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
ভালো মানের কালো বা ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। ৭০-৮৫ ভাগ কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেটকেই বলে ডার্ক চকলেট। এতে আছে আঁশ, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। দিনে অল্প পরিমাণ ডার্ক চকলেট খেলেও ৫০ ভাগ পর্যন্ত হৃদ্রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়। নিয়মিত চকলেট খেলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও শারীরিক প্রদাহ রোধেও ডার্ক চকলেট সহায়তা করে।
ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে সক্রিয় জৈব উপাদান রয়েছে, যা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এসব উপাদান হলো পলিফেনলস, ফ্ল্যাভানল ইত্যাদি। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া রোধ করে এবং ক্যানসার রোধে ভূমিকা রাখে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেকোনো ফলের তুলনায় ডার্ক চকলেটে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান বেশি।
কোকোয়া বীজের ফ্ল্যাভানল মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, যা মানুষকে আর উদ্দীপিত করে তোলে। নেচার নিউরোসায়েন্সের এক গবেষণায় দেখা গেছে ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী সুস্থ ব্যক্তি যারা তিন মাস উচ্চ ফ্ল্যাভানলযুক্ত কোকোয়া পানীয় পান করেছেন, তাঁদের স্মৃতিশক্তি বেড়েছে।
চকলেটের আরেকটি বড় গুণ এটি বিষণ্নতা দূর করতে মহৌষধের মতো কাজ করে। চকলেটে থাকা ট্রিপটফেন নামের একটি উপাদান বিষণ্নতা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি মস্তিষ্কে ডোপামিন বাড়িয়ে শরীরে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। দিনে ৪০ গ্রাম ডার্ক চকলেট খেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্ট্রেস হরমোন কমে যায়। এ ছাড়া চকলেটে ফিনাইল ইথাইলামাইন নামক উপাদান আছে, গবেষকেরা যার নাম দিয়েছেন লাভ কেমিক্যাল।তাই সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্যও নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।
ভালো মানের চকলেট চেনার উপায়: চকলেট প্রক্রিয়াজাত করলে এর গুণগত মান কমে যায়। এ ছাড়া কোকোয়া বাটার, চিনি ও চর্বিসমৃদ্ধ চকলেট শরীরের জন্য উপকারী নয়। তাই চকলেট কেনার সময় সবচেয়ে কম মিষ্টিটি কিনতে হবে। সর্বোচ্চ মাত্রার কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেটই ভালো। সম্ভব হলে অরগানিক কি না, সেটাও দেখে নিতে হবে। চকলেটের লেবেলে যদি লেখা থাকে প্রসেসড উইথ অ্যালকালি তবে তা পরিহার করতে হবে। এই পদ্ধতিতে তৈরি চকলেটে কোকোয়ার প্রাকৃতিক ফ্ল্যাভানল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভেঙে ফেলা হয়। কোকোয়া বাটারবিহীন চকলেট কিনুন।
তবে এত সব উপকারী গুণাগুণ আছে বলেই যত খুশি চকলেট খাওয়া যাবে, তা নয়। পরিমিত মাত্রায় চকলেট খাওয়া ভালো। সপ্তাহে ভালো মানের অল্প চকলেট খেলেও উপকারিতা পাবেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 381 বার দেখা হয়েছে
12 অগাস্ট 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন প্যারাফিন (2,760 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 3,282 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 573 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,125 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 358 বার দেখা হয়েছে
28 সেপ্টেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন shahadat (2,110 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,053 জন সদস্য

130 জন অনলাইনে রয়েছে
5 জন সদস্য এবং 125 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. Sonia162994

    100 পয়েন্ট

  3. IBWAlva03064

    100 পয়েন্ট

  4. SI Sourav

    100 পয়েন্ট

  5. cwinmom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...