লেবুতে রয়েছে স্বল্প পরিমান আমিষ । আমিষ প্রাণীর দৈহিক ও বুদ্ধিবৃওিক বিকাশে সহায়তা করে । এর অভাবে অপুষ্টি দেখা দেয় । শর্করা প্রাণীর দৈহিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে । অতিরিক্ত শর্করা দেহে জামা থাকে এবং প্রয়োজনে দেহে তাপ ও শক্তির যোগান দেয় । চর্বি শর্করার মতই দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে । প্রয়োজনের অতিরিক্ত চর্বি ত্বকের নীচে জমা থাকে , যা ত্বককে মসৃণ করে এর সৌন্দর্যয বাড়ায় এবং দেহের রতাপমাএা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । খনিজ লবণ দেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া সম্পাদনে সাহায্য করে । কিছু কিছু খনিজ লবণদেহের বিভিন্ন অঙ্গ গঠনেও সাহায্য করে । ভিটামিন বি-১ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সাধন এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সবল ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে । এর অভাবে বেরিবেরি হয় । ভিটামিন বি -২ দেহের সুষ্টু পরিপাক ক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । এটি দৃষ্টিশক্তির স্বাভাবিকতা বজায় রাখে । এর অভাবে স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, স্নায়ুবিক দুর্বলতা ও হজমে সমস্য হয় । ভিটামিন সি দেহের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় ও সর্দি কাশিনিরাময় করে । এটি দাঁত,মাড়ি ও পেশী মজবুত করে । এর অভাবে স্কার্ভি নামক রোগ হয় । দেহের হাড় ও দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এর অভাবে রিকেট বা হাড় বাঁকা হয়ে যাওয়া রোগ হতে পারে । লৌহ রক্তের লাল রক্ত কণিকা তৈরি করে , য়া দেহ কোষে অক্সিজেন সরবরহের জন্য প্রয়োজন । এর অভাবে রক্ত শূণ্যতা বা এনিমিয়া দেখা দেয় । এমনকি জীবনীশক্তি হ্রাস পেতে পারে । খাদ্যশক্তি প্রাণীর দেহে শক্তি যোগায় এবং দেহকে কর্মক্ষম রাখে ।
আয়ুর্বেদ মতে পাতি বা কাগজী লেবু কাশি, কফ, বমি ও বমিভাব, তৃষ্ঞা কোষ্ঠবদ্ধতা, অম্লপিও,পেটের গ্যাস জাতীয় পীড়া নাশ করে । ক্ষুদা বাড়ায়, চোখের জন্য উপকারী, হজমে সহায়তা,রুচি বাড়ায় এবং বাত, অম্ল ও পেটের অসুখে উপকারী । বলা হয় বর্ষাকালের বদহজম, বমি , পাতলা পায়খানা, অরুচি ও ক্ষুদামন্দা ইত্যাদি রোগের মহৌষধ হল লেবু ।