একেকটা মানুষের ভারোত্তোলনের ক্ষমতা একেক রকম। কারো যদি সর্বোচ্চ ১০ কেজি ভার উঠানোর ক্ষমতা থাকে এবং তাকে যদি ১৫ কেজি ওজনের কিছু দেয়া হয়, তবে সে কিছুদূর গিয়েই পড়ে যাবে অর্থাৎ FAIL করবে।
ঠিক তেমনি আমাদের দেহে কিডনী, ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে, যা দেহের তরল ছেঁকে তা হতে ভাল উপাদানগুলো রেখে বাকীটা মূ্ত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়। আর মানবদেহের কিডনীদ্বয় দৈনিক দেড় থেকে দুই লিটার মূত্র তৈরি করে।
এজন্য কেউ দৈনিক গড়ে ২ লিটারের বেশি পানি পান করলে তার লোড কিডনী নিতে পারে না আর এক পর্যায়ে কিডনী অক্ষম (Renal Failure) হয়।
অবশ্য পরিবেশ ও ব্যক্তিভেদে উপরোল্লখিত পরিমাণের তারতম্য আছে। আরেকটা কথা না বললেই নয়- কেউ যদি দিনে গড়ে ৬ লিটার বা তারও অধিক পানি পান করে (যা সাধারণত ব্যায়ামকুশলীদের করতে দেখা যায়), তবে অতি অল্প সময়েই তার শরীরের বিভিন্ন অংগ যেমন মস্তিষ্কের কোষসমুহ ফুলে যায়, পাশাপাশি রক্তে লবণের পরিমাণ কমে যায় এবং মৃত্যুও ঘটে। এই ঘটনাকে ‘ওয়াটার ইনটক্সিকেশন বলা’ হয়।
এজন্য প্রত্যেকের উচিৎ প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাপ করে পানি পান করা। দৈনিক দুই লিটারের বেশি পানি পান করলে যেমন কিডনী খারাপ হবার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি দেড় লিটার এর কম পানি পান করলেও কিডনীর নানাবিধ রোগ হয়।