ফেসবুক মেটাভার্স এর নতুন ফিচারগুলো কী কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
259 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
মেটাভার্স' (METAVERSE) এক স্বপ্নের দুনিয়া
-
গতকাল মার্ক জাকারবার্গ পৃথিবীতে একটা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন, যা একুশ শতকের একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বিশেষ করে ইন্টারনেটের একটা মাইলফলক। জাকারবার্গের ভাষায়, "Metaverse is the Successor of Internet"। অনেকেই শুধু এটা জেনে ক্ষান্ত দিয়েছেন যে, ফেইসবুক ফেইসবুকই থাকছে শুধু 'Meta' নামে একটা নতুন কোম্পানির আবির্ভাব হয়েছে। আগে ফেইসবুক ছিলো ফাদার কোম্পানি, আর এখন Meta হবে ফাদার কোম্পানি, যার অধিনে থাকবে WhatsApp, Facebook, Instagram এর মতো অ্যাপস। এটা কোনো বিশেষ ঘটনা না, ঘটনা হচ্ছে এই Meta কোম্পানি তৈরি করতে যাচ্ছে মেটাভার্স (Metaverse) নামে এক নতুন ভার্চুয়াল দুনিয়া। আমাদের ইউনিভার্স এর একটা প্যারালাল কপি হবে মেটাভার্স। এই মেটাভার্স তৈরিতে সহযোগী হিসেবে থাকছে বিশ্বের সব বড়বড় টেক কোম্পানি। সবাই মিলে নির্মান করতে যাচ্ছে এক ভার্চুয়াল দুনিয়া। যার নেতৃত্বে থাকছে মেটা (Meta)।
মেটাভার্স এ আপনি নিজেই নিজের একটা 3D দুনিয়া তৈরি করতে পারবেন। সেখানে আপনার একটা 'ভার্চুয়াল কপি' বা 'এনিমেটেড কপি' (Avatar) বসবাস করবে। আপনি চাইলেই সেখানে আপনার বন্ধু বা আত্মীয়দের আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন। আপনার প্রোফাইল পিকচারের মতোই আপনার '3D Avatar' সেখানে আপনার প্রতিনিধিত্ব করবে। মজার বিষয় হচ্ছে সেখানে আপনি আপনার একাধিক 'ভার্চুয়াল কপি' তৈরি করতে পারবেন। যেমন গেইম খেলার জন্য একটা, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ভ্রমণের জন্য একটা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য একটা। শুধু তাই না, সেই দুনিয়ায় আপনি পছন্দমতো যেকোনো পোশাক পরতে পারবেন, কাপড় ও আসবাবপত্র কিনতে পারবেন, আপনার ভার্চুয়াল ঘর আপনার ইচ্ছেমতো সাজাতে পারবেন। অনেকে সেখানে বিভিন্ন 3D অবজেক্ট তৈরি করে বিক্রি করবে, আর আপনি কিনবেন। অবশ্য আপনিও সে দুনিয়ার বিক্রেতা হতে পারবেন, যদি আপনি 3D অবজেক্ট তৈরি করতে পারেন।
মেটাভার্সে যখন আপনি বাংলাদেশে থেকে জার্মানিতে কোনো ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন, আর তখন যদি টিচার এসে আপনার কানটা মলে দেন, তাহলে আপনি সে ব্যথাও অনুভব করবেন! আপনি দুরবর্তী কারো সাথে যোগাযোগ করার জন্য, তাঁর সাথে চ্যাট করা, ছবি দেখা, কথা শুনার পাশাপাশি তাকে (ভার্চুয়াল কপি) ধরতে পারবেন এবং তার সাথে পাশাপাশি বসে কথা বলার ফিল পাবেন। আপনার আই কন্টাক্ট, ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন, বডি মুভমেন্ট সব হবে বাস্তব জগতের মতো, হুবহু। এজন্য আপনাকে একটা AR Glass পরতে হবে, যা দেখতে আমাদের সাধারণ চশমার মতোই। যেখানে একটা ক্যামেরা লাগানো থাকবে, আর কাজ করবে আপনার চোখ ও হাতের মুভমেন্টকে অনুসরণ করে। আপনার আসেপাশের পরিবেশ ভালো না লাগলে, আপনি হাঁটতে হাঁটতে বা ঘরে বসেই চলে যেতে পারবেন মেটাভার্সে।
মেটাভার্সে ঘরে বসেই আপনি ঘুরে আসতে পারবেন আমেরিকায়, চড়তে পারবেন আইফেল টাওয়ারের চূড়ায়, কিংবা ধরে দেখবেন মিশরের হাজার বছরের পুরনো পিরামিড। আপনি চাইলে সেখানে বসেই সেই পিরামিড নির্মাণের ইতিহাসও দেখতে পারবেন, স্বচক্ষে। দেখবেন প্রাচীন কাপড় পরা কোনো মিশরীয় দাস টেনে নিচ্ছে এক বিরাট পাথর, মরুভূমির বালুর উপর এই টানার শব্দ, চিহ্ন এবং সেই মিশরীয় দাসের দীর্ঘশ্বাস আপনি শুনতে পারবেন, ধরে দেখতে পারবেন সেই পাথরটিও! মহাকাশ সম্পর্কে জানতে চাইলে, মহাকাশেও একটা ভ্রমণ করে আসতে পারবেন। আপনি চাইলেই মেটাভার্সে একটা বাংলাদেশ তৈরি করতে পারবেন যেখানে বাংলাদেশের নদীনালা, খালবিল, পাহাড়, ঝর্ণা, সব থাকবে। অন্যদেরকে সে দেশে হয়তো আপনি নিমন্ত্রণ দিবেন। সেখানে ভিসা, পাসপোর্ট ও ফি'র ব্যবস্থা রাখতে পারবেন। আবার কাউকে একসেস না দিয়ে, একাই থাকতে পারবেন সে দেশে। সব মিলিয়ে আপনি নিজেই তৈরি করতে পারেন আপনার স্বপ্নের দুনিয়া। বন্ধুর সাথে বসে গল্প করতে চাইলে তাকে নক দিয়ে শুধু বলবেন, 'এই আমার ঘরে আয়, জরুরি আলাপ আছে'। চাইলে আপনা ভার্চুয়াল ঘরে বসে, ভার্চুয়াল বোর্ডে আপনি দাবা বা টেবিল টেনিস খেলবেন, ভার্চুয়াল টিভি দেখবেন, গান শুনবেন। মিটিং, আড্ডা, ক্লাস, খাওয়াদাওয়া সব হবে মেটাভার্সে।
মেটাভার্সে এপনি ডাক্তারও দেখাতে পারবেন। আমি আশংকা করছি হয়তো পতিতালয়ও থাকতে পারে। সেখানে হয়তো পতিতা নির্মানকারী অনেক প্রতিষ্ঠানও থাকবে। হয়তো এক্সেস সবার থাকবে না। তাঁরা বলছে শিশুদের জন্য সেখানে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম থাকবে। সবমিলিয়ে ইন্টারনেটে যা হতে যাচ্ছে, তখন আপনি কতক্ষণ অনলাইনে ছিলেন সেটা হিসেব না করে, কতক্ষণ ছিলেন না সেটা হিসাব করবেন।
উপরে যা যা বলা হয়েছে তা আগামী বছরই হয়ে যাচ্ছে না, এজন্য Meta এক দশকের পরিকল্পনা নিয়েছে। তারা সবাই মিলে ধাপে ধাপে একটা দুনিয়া নির্মান করছে। নির্মাণ করছে সে দুনিয়ার ইতিহাস। আপনাকে এখন থেকেই সে দুনিয়া সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে, সেই সর্বগ্রাসী দুনিয়ায় আপনি কি করবেন এবং কিভাবে সেটা মোকাবিলা করবেন সেটা এখন থেকেই ভাবতে হবে। ২০২২ সাল খুব দূরে নয়, দরজায় কড়া নাড়ছে, কড়া নাড়ছে এক নতুন দুনিয়া।
লেখকঃ Chowdhury Rahat
সূত্রঃ Internet

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 251 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 244 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 218 বার দেখা হয়েছে
22 অক্টোবর 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 792 বার দেখা হয়েছে
19 এপ্রিল 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ubaeid (28,320 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 449 বার দেখা হয়েছে
24 ফেব্রুয়ারি 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,673 জন সদস্য

214 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 212 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. HaiMiller79

    100 পয়েন্ট

  5. HungBittner

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...